পাথরঘাটায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার জেলে পাবেন ভিজিএফের চাল

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজশুরু হয়েছে ইলিশের ডিম ছাড়ার প্রধান মৌসুম। এই সময়ে বেকার জেলেদের মধ্যে সরকারী সহায়তা দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন।

এর আগে বুধবার (১৪ অক্টোবর) থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। সরকারি এ নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ। এ নির্দেশনা অমান্য করলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

দীর্ঘ ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলে জেলেদের রোজগারও বন্ধ হয়ে যায়। তাই এ সময় সরকারের প থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। এবছরও সে সহায়তা দেওয়া হবে।

নিষেধাজ্ঞার এ সময়কে ঘিরে পাথরঘাটার এ উপজেলায় ১১ হাজার ৪শ ৩৮ জেলে পরিবারের জন্য ২২৮.৭৬ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য বিভাগ। ফলে প্রতি পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবে।

উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১১ হাজার ৪শ ৩৮ জেলে পরিবারকে ২২৮.৭৬ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল দিয়ে সরকারী সহায়তার দেয়া হবে। এ উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে ১৫২৯ জেলে, কাকচিড়া ইউনিয়নে ১২১৪ জেলে, রায়হানপুর ইউনিয়নে ৫৮২ জেলে, নাচনাপাড়া ইউনিয়নে ৪৮২ জেলে, কাঠালতলী ইউনিয়নে ১০৬২ জেলে, চরদুয়ানী ইউনিয়নে ২৮৫৮ জেলে, সদর ইউনিয়নে ৩১৬৮  জেলে ও পাথরঘাটা পৌরসভায় ৫৪৩ জন জেলে রয়েছে। তাদের প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ মৌসুমে কেউ মাছ আহরণে নদীতে নামলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৎস্য আইন অনুযায়ী যদি কোন জেলে অপরাধ করে থাকেন তাদেরকে ২ বছরের জেল অথবা ৫ হাজার টাকা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমরা উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি এবং কাকচিড়া-চরদুয়ানী নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। পাথরঘাটা থানা পুলিশকেও অবহিত করেছি এবং কোস্টগার্ড পাথরঘাটা লঞ্চঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের তাদের মধ্যে যে জায়গাটুকু সেটুকু দেখবেন। তাছাড়া উপজেলা প্রশাসন প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ সার্বণিক কাজ করে যাবেন।

তিনি আরো জানান, পাথরঘাটা উপজেলা ১১ হাজার ৪শ ৩৮ জন তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছে, তাদের প্রত্যেককেই ২০ কেজি করে সহায়তা দেয়া হবে। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের বিষয়ে চেয়ারম্যাদের সাথে কথা হয়েছে। প্রতিটি জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)