পাথরঘাটায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, করোনা আতঙ্কে মানুষ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ঘরে সব বয়সের মানুষের জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দিয়েছে। ভয়ে এই মানুষ গুলো কোথাও চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সাথে মুঠোফোনে চিকিৎসা নিতে গেলে করোনা টেস্টের কথা বলে তাই ভয়ে চিকিৎসা নিতে যায় না অনেকেই।
আবার অনেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসক ঐসকল রোগীকেই জ্বর, সর্দি ও কাশির ওষুধ বিতরণ করছেন। অথচ রোগীদের মনে রয়ে গেছে করোনা আতঙ্ক।
উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ইমাম হোসেন জানান, প্রথমে তার ছোট ভাই আল-আমিনের জ্বর আসলে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের ফোন করেন, সে সময় চিকিৎক করোনা টেস্ট করার কথা বলে। আমি ভয়ে তার সাথে আর যোগাযোগ না করেই ফার্মেসী থেকে জ্বরের ওষুধ নিয়ে খাওয়াই, তার কিছু দিন পরেই একে একে আমার বাড়ির সকলের জ্বর আসে। আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি মহামারি করোনাভাইরাসে আমাদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হয়েছে কি না।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার খালিদ মাহমুদ আরিফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হঠাৎ করে উপজেলাব্যাপী ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর এ সময় প্রায় লোকেরই জ্বর, সর্দি, কাশি হয়ে থাকে। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তারা স্যাম্পল সংগ্রহ করে বরগুনায় পাঠান সেখান থেকে বরিশাল পাঠানো হয় এবং সেখানে টেস্ট হয়। সেখানে পাঠালে রিপোর্ট আসতে অনেক দিন লেগে যায়।