রিফাত হত্যায় রায়ের পর কি বললো নেটিজেনরা
শুধু কি বন্ড ০০৭ বাহীনি? বরগুনা সহ দেশ জুড়েই রয়েছে বহু কিশোর গ্যাং। অপরাধ করছে, করে দাপিয়েও বেড়াচ্ছে। তবুও অধরা থাকছে আইনের জালে। তাই রিফাত শরিফ হত্যা মামলার রায়ে কলঙ্গ মুক্ত হচ্ছে না বরগুনা। যতোক্ষণ না বন্ধ হচ্ছে কিশোর অপরাধ ও গ্যাং কালচার।
এমনটাই বললেন পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির। সারাদেশের কিশোর গ্যাং কে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে অপরাধে দিনে দিনে বেড়েই চলবে বলেও জানান তিনি।
আলোচিত বরগুনায় সড়কে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বরগুনা সহ আশেপাশের এলাকার জনমনে যেমন স্বস্তি বিরাজ করেছিলো তেমনি জড়িত অন্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বরগুনা বাসী।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা রকমের অনুভূতি প্রকাশ করছে নেটিজেনরা।
এ নিয়ে আকন মোহাম্মদ বশির তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অপরাধীদের বিচার করতে দলীয় নেতাদের ছাড় দেয় না আওয়ামীলীগ। যার প্রমাণ রিফাত হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ দণ্ডাদেশ ঘোষণা। এখন রায় কার্যকর অপেক্ষায় বরগুনা বাসী’।
রফিকুল ইসলাম কাঁকন মোল্লা লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! মিন্নিসহ ৬ জনের ফাসি। ধন্যবাদ বিচারক মহোদয়কে। এখন অপরাধীরা ভয় পাবে’।
আনোয়ারুল রশিদ সবুজ মন্তব্য করেছেন, ‘অসাধারণ সিদ্ধান্ত, আমি তাদেরকে চিনি খুব খারাপ ছিলো তাই ফাঁসি প্রাপ্য..’।
আদালত কে ধন্যবাদ জানিয়ে নুরুজ্জামান নোমানী লিখেছেন ‘প্রত্যাশা ছিল এটাই। ধন্যবাদ মাননীয় আদালতকে’।
মিন্নির বাবাকে উদ্দেশ্য করে এমডি সানি মন্তব্য করেছেন, ‘মেয়ের বিয়ের খবর গোপনকরে আবার বিয়ে দেয়ার জন্য তোমারও বিচার হবার প্রয়োজন।’ এরকম অসংখ্য মন্তব্য ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বরগুনায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন সহ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার অভিযোগ 007 বাহীনির অনেক পূর্বের। প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ ছিল এলাকার মানুষ। এ বাহিনীর উপর নানা ধরনের অভিযোগে প্রভাবশালী নেতাদের কারণে আগাতে পারেনি পুলিশ। তবে রিফাত হত্যার পর পূর্বের অবস্থা থেকে বেরিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নয়ন বন্ডের সহযোগী মিন্নিসহ ৬ জনকে ফাসির আদেশ ঘোষণা করেন আদালত।