তালতলীতে মৃত্যুব্যক্তির কবর উপরে ফেলার অভিযোগ
তালতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে মৃত্যুব্যক্তির কবর কেটে মরাদেহ উপরে ফেলার চেষ্টা করেন।
শনিবার(২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার নলবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার নলবুনিয়া এলাকায় ছোহরাফ এর ছেলে রুহুল আমিন গত ১০ বছর আগে মারা । পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ছোহরাফ এর ভাই সাইদুর রহমান এর ছেলে রবিউল ইসলামের একটি মারামারি মামলার স্বাক্ষী দেন মৃত্যু রুহুল আমিন এর বোন অজুফা বেগম। তারই জের ধরে গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রকাশ্যে রবিউল পারিবারিক করবস্থান থেকে মৃত্যু ব্যক্তির মরাদেহ করব থেকে উপরে ফেরাল জন্য কবরটি কোদাল দিয়ে কেটে ফেলছে। কবর কাটার সময় রবিউল রান্দা, ছেনা নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো ভয়ে কেউ পাশে যেতে পারেনি। পরে তালতলী থানায় এসে একটি অভিযোগ দেয় বোন অজুফা।
মৃত্যু রুহুল আমিনের বোন অজুফা বলেন,আমি রবিউলের বিরুদ্ধে একটি মারামারি মামলার স্বাক্ষী দেওয়াতে সে আমাদের পারিবারিক কবরস্থান থেকে আমার ভাইর মরাদেহ কবর কেটে উপরে ফেলার জন্য কবরটি কাটেন। কবর কাটার সময় তারা রান্দা,ছেনা নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো ভয়ে আমরা কেউ কবর কাটার বাধা দিতে পারিনি। কবরটা এমনভাবে কাটছে বাশও উঠিয়ে ফেলছে।পরে আমি তালতলী থানায় একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ এসে রবিউল কে আটক করেন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এবিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সেলিম মিয়া বলেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে এই বিষয়টির বিষয় জানতে বলেন। আমি যতটুকু শুনেছি ঘটনাস্থানে গিয়ে তার বেশি সত্যতা পেয়েছি। পরে আমি ওসি স্যারকে জানাই। তিনি আরও বলে কবরের মাটি সরিয়ে বাশও উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।আসলে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক শত্রুতা থাকতে পারে তার জন্য মৃত্যু ব্যক্তির সাথে শত্রুতা করার কোনো ভালো মানুষের কাজ না।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন কবরস্থান উপরে ফেলার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্য- মিথ্যা যাচাই করে অভিযুক্ত রবিউল বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে।
রবিউল এর গ্রেফতারের বিষয় বলেন তিনি অন্য একটা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ছিলেন এজন্য ঔ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।