৫ টাকার জন্য মানুষ খুন
ঢাকা প্রতিনিধিঃ ফার্মগেটের এক বাড়ির কেয়ারটেকার জুলহাস মিয়া (৫০) হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি কাজল (৩৫)। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। কাজলের বাড়ি নেত্রকোনায়।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় খুন হন জুলহাস। পরে সেখান থেকে পুলিশ আসামি কাজলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে সাইফুল বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, নিহত ব্যক্তির কাছে পাঁচ টাকা চেয়েছিল কাজল। পরে সেই টাকা না দেওয়ায় তাঁকে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ বলছে, আসামি কাজল মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। তিনি ফার্মগেট এলাকার ফুটপাতে থাকতেন।
আদালত সূত্র বলছে, কাজলের ব্যাগে কিছু টাকা ছিল। কাজলের অগোচরে সেই ব্যাগ নেন কেয়ারটেকার জুলহাস। পরে কাজল তাঁর কাছে (জুলহাস) ব্যাগ ফেরত চাইলে তিনি ব্যাগ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তখন কাজল তাঁর কাছে পাঁচ টাকা চান। এই টাকা দিতে অস্বীকার করার পর জুলহাসকে ছুরিকাঘাত করেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজানুর ইসলাম বলেন, কাজল মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। পাঁচ টাকা চেয়ে না পাওয়ার পর তিনি জুলহাসকে খুন করেন বলে আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন।
মামলার বাদী সাইফুল বলেন, পাঁচ টাকার জন্য বাবাকে খুন করা হয়েছে। তবে কাজলকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে।
এ এম বি / পাথরঘাটা নিউজ