বাগেরহাট থেকে চুরি হওয়া গরু পাথরঘাটায় উদ্ধার আটক ১
বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার সোনাখালী ইউনিয়নের সোহাগ মাতব্বরের গোয়াল ঘর থেকে চুরি হওয়া চারটি গরু উদ্ধার হয়েছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী গরুর হাট থেকে। এ ঘটনায় জড়িত একজন কে আজ দুপুরে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটক চোরাই গরু চক্রের সদস্য ইউনুস মিয়া পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী গ্রামের মোতালেব হাওলাদার এর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক লক্ষ টাকা মূল্যের গরু বাচ্চা সহ ২২ হাজার টাকা বিক্রি করায় তাদের মধ্যে সন্দেহ জাগ্রত হয়। এমতাবস্থায়, লোকজন ইউনুস কে গণপিটুনি দিলে সে তার চুরির কথা স্বীকার করেন।
সোহাগ মাতব্বর জানান তাদের গোয়ালঘর হতে গতরাত আনুমানিক রাত দুইটার দিকে চারটি গরু চুরি করে পাথরঘাটার দিকে নিয়ে যায় এমন সংবাদ পাই। এরপর পাথরঘাটায় আমার নিকট আত্মীয়দের কাছে বিষয়টি জানালে তারা পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ শুরু করে।
আটক ইউনুস জানান, আল আমিন, মনির, হুমায়ুন সহ বেশ কয়েকজন মিলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আনা চোরাই গরু সল্প দামে এ হাটে বিক্রি করে। স্থানীয় ঝামেলা এড়াতে ইজারাদার ফয়সাল ও ফিরোজ মেম্বার সহয়তা করে তাদের বলে সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করে ইউনুস।
বাজারের ইজারাদার ফয়সাল বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই বাজারে গরু বিক্রি করতে আসে ব্যাবসায়ীরা। ইজারাদারের দাবি স্থানীয় লোকজনের পরিচিত ছাড়া গরু বিক্রি হয়না এ হাটে।
তবে চোরাই গরু বিক্রির স্থানীয় দালাল ইউনুস আটক হওয়ার পর বেরিয়ে আসে ইজারাদারদের সম্পৃক্ততার কথা।
ইজারাদারের সহযোগী ফিরোজ মিয়া তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন ইতি পূর্বে কাঠালতলী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ইসলামের প্রত্যয়ন নিয়ে ইউনুস বাজারে গরু বিক্রি করেছে।
নাচনাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরিদ মিয়া জানান পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে অন্য বাজারে বিক্রি করে এবং অন্য এলাকা থেকে গরু চুরি করে পাথরঘাটার মানিকখালি বাজারে বিক্রি করে একটি চক্র। তিনি মনে করেন চক্রটি অত্যন্ত শক্তিশালী।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক আবুল হোসেন বলেন স্থানীয়দের অভিযোগের মাধ্যমে ইউনুস মিয়াকে চোরাই গরু সহ আটক করা হয়েছে। আমরা গরু সহ ইউনুস কে থানায় নিয়ে এসেছি। তদন্ত করে এর সাথে যুক্ত চক্রেকে আটক করা হবে।