পাথরঘাটায় ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি! স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট
বরগুনার পাথরঘাটায় ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে হাত-পা, মুখ বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে গৃহবধূ জেসমিন আক্তার আহত হয়েছে। ডাকাতির সংবাদ পেয়ে বরগুনা সদর সার্কেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ও পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গত রাতে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নে দক্ষিণ কাকচিড়া গ্রামের বাদল মোক্তারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসম নগদ দশ লক্ষ টাকা ও পনের ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
বাদল মোক্তার ভাইয়ের জামাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাবির হোসেন জানান, রাতে খাবার শেষে তার চাচা শশুর বাদল মোক্তার, স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছেলে সিনাকে নিয়ে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমানোর পর বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙে রাত দুইটার দিকে একজন ঘরে প্রবেশের বিষয়টি টের পায় বাদল মোক্তার। তখন সে এবং তার স্ত্রী মিলে তাকে জাপটেধরে। এরমধ্যেই পিছন থেকে আরো পাঁচ-ছয় জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে বেঁধে ফেলে। এসময় জেসমিন আক্তারকে পাশের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে মুল্যবান সামগ্রীর সন্ধান চায়। এসময় তাদের কে মারধর করে ডাকত দল।
এডভোকেট জাবির হোসেন আরো জানান, ঘরে প্রবেশ করে রাত দুইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে নদগ দশ লক্ষ টাকা ও প্রায় পনের ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে চিনতে পারেনি তারা।
পাথরঘাটা থানা পুলিশের কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মোহাম্মদ সাঈদ জানান, ঘটনা শোনার পর পরই সদর সার্কেল সহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর আগেও পাথরঘাটায় ঠাকুরঘরের সিন্ধুক ভেঙে ডাকাতি হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে ডাকাত চক্রেকে আটক করেছি। তদন্ত করে অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে বলে জানান তিনি।