বরগুনায় করোনায় সাংবাদিকের মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল আলীম হিমুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আবদুল আলীম হিমু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে সস্ত্রীক বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ২৮ আগস্ট ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ৫ সেপ্টেম্বর সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীর মহাখালী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি মারা যান।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সঞ্জিব দাস জানান, আবদুল আলীম হিমু ১৯৭২ সাল থেকে দৈনিক গণ কন্ঠ ও বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকার বরগুনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন।
এর পর দৈনিক ইত্তেফাকের সুদীর্ঘ ৩৫ বছর বরগুনা (দক্ষিণ) জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাতবার বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৮৪ সালে বরগুনা থেকে প্রকাশিত বরগুনা কণ্ঠের সম্পাদক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে মরহুমের মরদেহ সর্বস্তরের জনগণের জন্য রাখা হবে। বিকার ৪টায় সার্কিট হাউস ঈদগাহ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বরগুনা শহরের তার সম্মানে সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। এ ছাড়া বরগুনা প্রেসক্লাব তিন দিনের শোক ঘোষণা করে কালো পতাকা উত্তোলন করেছে।
আবদুল আলীম হিমুর মৃত্যুতে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবীর, বরগুনা প্রেসক্লাব, বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু এক শোকবার্তায় শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
মরহুম আবদুল আলীম হিমু ন্যাশনাল অব অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএনএ) আবদুল কাদের লাল মিয়ার ছোট ছেলে। তিনি জাসদের রাজনীতির সংগে যুক্ত ছিলেন।
রাজনীতি জীবনে তিনি একজন সুবক্তা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি পান। মরহুমের হাত ধরে অসংখ্য নামিদামি সংবাদকর্মী বরগুনায় তৈরি হয়। তিনি একজন সাহসী সাংবাদিক ছিলেন।