পাথরঘাটায় সেই ঠাকুর ঘর ভেঙে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৪
বরগুনার পাথরঘাটায় হাত-পা বেঁধে ও মুখে টেপ লাগিয়ে ঠাকুর ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতির মাধ্যমে লুট করে নেয়ার ঘটনার চক্রকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত ও পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২ সেপ্টেম্বর চক্রের প্রধান উপজেলার লেমুয়া গ্রামের রহিম হাওলাদার ছেলে সিদ্দিক হাওলাদারকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে লুন্ঠিত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটক সিদ্দিকুর রহমানের তথ্য মতে তার সহ সহযোগী জেলার আমতলী উপজেলার মহিসকাটা এলাকার আব্দুস সোবহান প্যাদার ছেলে কামাল হোসেনকে বরগুনা শহীদ স্মৃতি সড়ক এলাকা থেকে ৩ সেপ্টেম্বর আটক করা হয়। তাদের তথ্য মতে লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার গুলো বরগুনা শহরের নারায়ন কর্মকারের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় তাকেও আটক করা হয়। তিনি আরো জানান এর আগে উপজেলার সহেরাবাদ এলাকা থেকে আমির হোসেন নামে এক জনকে সংন্দেহ জনক ভাবে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে তাদের দোষ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। তিনি জানান, গত (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ১ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের উত্তম মজুমদারের বাড়িতে জানালা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে মুখ টেপ লাগিয়ে ঘরের আলমারি ভেঙে কাপড় চোপড় এলোমেলো করে। তখন সেখানে তারা সন্তুষ্ট জনক কিছু না পেয়ে পরবর্তীতে পূজার ঠাকুর ঘরের সিন্দুকের ভিতর থেকে স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, ঠাকুর ঘরের সিন্দুক ভেঙ্গে ডাকাতির ঘটনায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান চালিয়ে মূল আসামিদের আটক করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।