ইলিশের ভরা মৌসুমে নদ নদীতে মিলছে জাটকা, হতাশ জেলেরা
চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। এ সময় জেলেদের জালে ধরা পরবে বড় আকৃতির ইলিশ। কিন্তু এখন উপকূলের নদ-নদীতে বড় ইলিশ মিলছে খুবই কম। যাও মিলছে তা গভীর সমুদ্রে। তবে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণে জাটকা। কিন্তু এটা হওয়ার কথা নয়। বেশ কিছুদিন ধরে উপকূলের নদ-নদীতে মণকে মণ জাটকা ধরা পড়ায় জেলেরাও অনেকটা বিস্মিত।
দেশের বৃহত্তর মৎস্য বন্দর বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে গিয়ে দেখা যায় নোঙর করা প্রতিটি ট্রলারেই বড় মাছের পাশাপাশি জাটকায় সয়লাব। তবে আবহাওয়া পরিবর্তন, পানি দুষণসহ নানা কারণে এটি হতে পারে বলে জানান পাথরঘাটা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু। তবে এটি গবেষনার বিষয়, দ্রুত এ বিষয় গবেষনাগারে জানাবেন বলেও জানান তিনি।
১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস জাটকা শিকারের ওপর থাকে সরকারের নিষেধাজ্ঞা। জ্যৈষ্ঠ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত বলা হয় ইলিশের ভরা মৌসুম। তারমধ্যে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনে সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে থাকে নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে গিয়ে আশানুরুপ পাচ্ছেনা ইলিশ। যাও পাচ্ছে তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ জাটকা। মৎস্য জেলেদের দাবি, ইলিশের ভরা মৌসুমে বাংলাদেশে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকার সুযোগে ভারতীয় জেলেরা দেশীয় জল সীমায় এসে ইলিশ শিকার করে নিয়ে যায়।
পাথরঘাটার বিএফডিসি পাইকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত ইলিশের ভরা মৌসুমে এতো পরিমাণ জাটকা কখনই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে উঠেনি। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ইলিশের দেখা মিললেও এ উপকূলীয় এলাকায় ইলিশের তেমন দেখা নাই। সে কারণে দুর দুরন্ত থেকে আসা পাইকাররা এসেও তাদের কাঙ্খিত ইলিশ কিনতে পারছেনা এখান থেকে। এ মৎস্য বন্দরে জাটকা ইলিশ ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা মনে বিক্রি হচ্ছে। আর মাঝারি আকারের ইলিশ ১৮ থেকে ২০ হাজার এবং বড় আকারের ইলিশ ২২ থেকে ২৬ হাজার টাকা মন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান জেলেরা বড় ইলিশ মাছ ধরার আশা নিয়ে সমুদ্রে জাল ফেলে। কিন্তু তাতে বড় ইলিশ না উঠে জাটকা ইলিশ ধরা পড়ায় বাধ্য হয় মৎস্য ঘাটে এনে বিক্রি করছে। তিনি আরো জানান সরকারের দেয়া সকল ধরনের মৎস্য আইন পালন করে বাংলাদেশের জেলেরা কিন্ত অসময়ে ঝাটকা ইলিশ ধরা পড়ায় চিন্তিত রয়েছে উপকূলীয় জেলা এ নিয়ে গভীরভাবে মৎস্য বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দাবি জানান তিনি।