তালতলীতে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, ২জনকে ১০ বছর কারাদন্ড
দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে খুনের ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণ করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল করা মামলায় একজন প্রাপ্ত বয়স্ককে যাবজ্জীবন ও দুইজন নাবালককে ১০ বছরে করে সশ্রম কারাদন্ড এবং প্রত্যককে একলাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।
জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা থাকবে। বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হল, বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা শহরের বারেক ডাক্তারের ছেলে প্রাপ্ত বয়স্ক আল আমীন, জাহাঙ্গীর খলিফার ছেলে নাবালক মেহেদী ও মংমংরীর ছেলে নাবালক উছেন। উছেন মামলা শুরু থেকে পলাতক।
অন্য আসামীরা রায় ঘোষনার সময় আদালতে উপস্থিত ছিল।
জানা যায়, মামলার বাদী গোলাম মাওলার স্ত্রী শামিমা আকতার তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ২০১৭ সালে ২২ ফের্রুয়ারী তার দশম শ্রেণিতে পুড়ুয়া মেয়েকে তালতলী বাসায় রেখে তারা দুইজনে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার খাতা আনতে যায়। ওইদিন রাতে তার মেয়ে পাশের ঘরের একটি মেয়েকে নিয়ে রাতে বাসায় ঘুমায়। রাত ১২ টার দিকে প্রতিবেশী মেয়েটির দাদী অসুস্থ হলে সে তার বাসায় চলে যায়। এই ফাকে ওই আসামীরা বাদীর বাসায় ঢুকে স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ছবি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে দেয়।
তালতলী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজী ফজলুল হক মামলাটি তদন্ত শেষে ১২ জুন ওই তিনজন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দালিখ করেন। আসামী আল আমিন ও মেহেদী প্রায় দুই বছর পর্যন্ত জেল হাজতে আছে। উছেন শুরু থেকে পলাতক। আসামী মেহেদীর বাবা জাহাঙ্গীর খলিফা যুগান্তরকে বলেন, তার ছেলে নির্দোষ। তার ছেলের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়নি। আমি উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল যুগান্তরকে বলেন, আসামী মেহেদী ও উছান নাবালক বিধায় তাদের ১০ বছরের বেশী সাজা দেওয়ার বিধান নেই। নাবালক না হলে তাদেরও যাবজ্জীবন কারাদন্ড হত।