দীর্ঘদিন পর ফের আদালতের কাঠগড়ায় মিন্নি
করোনাভাইরাসের কারণে পাঁচ মাস বন্ধ ছিল বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম। অবশেষে সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় আদালতে হাজির হন জামিনে থাকা মিন্নিসহ ১০ আসামি।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু বলেন, আদালতে আসামিদের ৭৬ জন সাক্ষীর দেয়া সাক্ষ্য পড়ে শোনানো হবে। এছাড়া আসামিদের সাফাই সাক্ষী গ্রহণ ও কোনো কাগজপত্র জমা দেয়া হবে কিনা জানতে চাওয়া হবে। কোনো আসামির পক্ষে কাগজপত্র জমা দেয়ার না থাকলে আজকেই আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শেষ হতে পারে।
রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুইটি ভাগে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরমধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু। মামলায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মিন্নি ও শিশু আসামিদের মোট আটজন জামিনে রয়েছেন।
প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।
এরমধ্যে ১ থেকে ৭ নম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০২ ও ৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ৮ ও ১০ নম্বর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে ২১২ ও ১২০বি ১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ৯ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাঙ ‘বন্ড গ্রুপ’। পরে বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রিফাত।