পাথরঘাটায় আঞ্চলিক সড়কে বেহাল দশা, হাতে হাতুড়ি নিয়ে মেরামত করলেন হাফিজুর রহমান সোহাগ
বরগুনার পাথরঘাটা ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাথরঘাটার কাজি বাড়ি নামক স্থানে অসমাপ্ত স্লুইচ গেট নির্মাণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় চলাফেরা করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষের। সামান্য বৃষ্টি হলেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় এই আঞ্চলিক মহাসড়কের। যার কারণে পাথরঘাটা থেকে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, মঠবাড়িয়া গামী সকল পরিবহন কে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে।
শুকনোর সময় এ রাস্তা দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারলেও বড় যানবাহনগুলো মোটেই চলাচলের উপযোগী নয়। ঝুঁকি নিয়ে যে সকল ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করছে তা সামান্য ভুল করলে পার্শ্ববর্তী খালে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এ রাস্তা থেকে যাতায়াতকারী ভুক্তভোগীদের দাবি, যানবাহন ও মানুষের চলাচলের অনুপযোগী এ সড়কের বেহাল দশা নিয়ে অনেকবার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের নিকট সরনাপন্ন হয়েও কোন তেমন কোন সমাধান পাননি। তাদের দাবি চায়না প্রোডাক্ট এর কর্মকর্তাদের খামখেয়ালীপনার কারণেই উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে জনগণের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষজনের চলাচলে যাতে কষ্ট না হয় সে কারণে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহাগ ব্যাক্তিগত খরচে সাময়িকভাবে মেরামতের ব্যবস্থা করেছেন এই সড়কটির।
শ্রমিকদের সাথে হাতে হাতুড়ি নিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজের বিভিন্ন ছবি ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হাফিজুর রহমান সোহাগ জানান কোরবানির ঈদের পরে বৃষ্টি হওয়ায় এ রাস্তায় মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ইটের সুরকি দিয়ে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে দেই।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির জানান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহায়তায় চায়না প্রোজেক্টের স্লুইচগেট নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে সড়কের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। তিনি আরো জানান করণা পরিস্থিতি এবং বৃষ্টির কারণে তাদের কাজ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে। তবে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কয়েক দফা মেরামত করলেও তা কাজে আসছে না।