লেবুপানির যত গুণ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ২১ মার্চ ২০১৮

---ওজন নিয়ন্ত্রণ
নিয়মিত ঘাম ঝরানো ব্যায়াম এবং খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেও ওজন কমানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারে লেবুর পানি। সকালে এই পানি খেলে দেহের হজমপ্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলে। লেবু দেহের যাবতীয় বিষাক্ত উপাদান দূর করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচায়।

পানিশূন্যতা প্রতিরোধ
প্রতিদিন কাজের জন্য দেহে যে পরিমাণ পানি দরকার, তার অনেকটই পূরণ করতে পারে লেবুপানি। হালকা উষ্ণ পানিতে লেবুর রস যোগ করে তাতে এক টেবিল চামচ মধু মেশাতে হবে। সকালের শুরুতেই এই মিশ্র খেলে পানির অভাব অনেকটাই ঘুচে যায়।

ত্বক
লেবুতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ চেহারার বলিরেখা দূর করে। আমেরিকান সোসাইটি ফর ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন জানিয়েছে, যারা ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খায়, তাদের বলিরেখা পড়ার আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়।

মুখের দুর্গন্ধ
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখে বাজে গন্ধ হয়। খালি পেটে লেবুপানি খেলে এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণ মিলবে। মূলত মুখে পানির অভাব এবং ব্যাকটেরিয়ার আনাগোনা থেকে বাজে গন্ধের সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া খাবার গ্রহণের পর লেবুপানি খেলে মুখ থেকে পেঁয়াজ, রসুন বা অন্যান্য খাবারের বাজে গন্ধ দূর হয়।

কিডনির পাথর প্রতিরোধ
লেবুর ভিটামিন ‘সি’ কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমতে বাধা দেয়। ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তাই নিয়মিত লেবুপানি খেলে কিডনি পরিষ্কার থাকবে।

লিভারের কাজ
দেহের ফিল্টার হলো লিভার, একে বিপাকক্রিয়ার রসুইঘরও বলা হয়। এ কাজকে ত্বরান্বিত করতে লেবুর পানি অসাধারণ কাজে দেয়। ফ্যাটি লিভার ডিজিস প্রতিরোধের পাশাপাশি লিভারে জমে থাকা বিষ বের করে লেবু। ফলে আরো বেশি পাচকরসের নিঃসরণ ঘটে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২১ মার্চ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)