গরুর চামড়া খাওয়ার উপযোগী করার নিয়ম-
১) প্রথমে চামড়া ছোট ছোট টুকরো করে কাটতে হবে।
২) টুকরো চামড়া গুলো ভালভাবে পরিস্কার করতে হবে ।
৩) গরম পানিতে চামড়া গুলো দিয়ে ২০-৩০ মিনিট চুলোয় গরম করে, ২-৩ ঘন্টা গরম পানিতে রেখে দিতে হবে।
৪) গরম পানি থেকে একটি একটি চামড়া নিয়ে আঁচড়িয়ে আঁচড়িয়ে পশমগুলি তুলে ফেরতে হবে।
৫) ঠান্ডা হয়ে গেলে একটু গরম করে তা আবার করতে পারেন। না হয় ধারালো ছুরি দিয়ে আলু ছিলানীর মত করে ও করতে পারেন।
৬) কাঁটার পর হালকা লবন দিয়ে ২-৩ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে আঠালো ভাবটা চলে যাবে। আবার রান্না করার পূর্বে ১৫-২০ মিনিট সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিলে আঠালোভাবটা একেবারেই চলে যাবে।
গরুর চামড়া রান্নার নিয়ম:
গরুর পায়া/নলা যেভাবে রান্না করে, চামড়াও সেভাবে রান্না করতে হয়। ভুনা করেও রান্না করতে পারেন। নেহারির মতও রান্না করতে পারেন। তবে ভুনাটাই বেষ্ট। স্বাদ একদম গরুর পায়া বা নলার মত এবং খুব মজাদার।
ইসলামে সাধারণত গৃহপালিত এবং কোরবানির পশুর (ছাগল, গরু, মহিষ) ইত্যাদি গোশত খাওয়া মুসলমানদের জন্য হালাল করা হয়েছে। কিন্তু এই হালাল পশুর বেলাতেও কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা হালাল পশুর ৭টি অঙ্গ খাওয়া মুসলমানদের জন্য হারাম করেছে।
যেমন-গরুর নাড়ি তথা রগ খাওয়া জায়েজ নয়। তবে ভুরি খাওয়া জায়েজ আছে।
হালাল পশুর যে ৭টি অঙ্গ হারাম সেগুলো হলো : প্রবাহিত রক্ত, নর প্রাণীর পুং লি’ঙ্গ, অন্ডকোষ, মাদী প্রাণীর স্ত্রী লি’ঙ্গ, মাংসগ্রন্থি, মুত্রথলি, পিত্ত। এছাড়া বাকি সবই খাওয়া জায়েজ।
সুতরাং, যবহকৃত হালাল পশুর প্রবাহিত রক্ত ব্যতীত সবই হালাল (আন‘আম ১৪৫)।
হানাফী কিতাব সমূহে আরো ছয়টি বস্তু হারাম বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু সেগুলি সব ক্বিয়াসী বা অনুমান নির্ভর।
সুতরাং হালাল পশুর চামড়া যদি কেউ খেতে চায়, খেতে পারে। তবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সবকিছু থেকে বিরত থাকতে হবে।