হত্যা? নাকি আত্নহত্যা?

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২০

আত্নহত্যা

কোনো আত্নহত্যা কিংবা হত্যার লোমহর্ষক ছবি, ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি, কোনো ভয়ংকর ছবি মিডিয়া অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা নৈতিকতা বিরোধী। আইনগত ভাবেও সঠিক নয়। তবুও কেউ কেউ এগুলো নির্দ্বিধায় আজকাল ফেসবুকে প্রচার করছে। প্রসঙ্গটি এসেছে বরগুনা ডক্টরস কেয়ারের ডাঃ আব্দুল খালেক সাহেবের বাসার গৃহপরিচারিকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়ায় নানা ধরণের প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

যতটুকু জেনেছি এবং ভিডিও চিত্র দেখেছি তাতে রীতিমত চমকে যাওয়ার কথা। মেয়েটি ঝুলে আছে অথচো তার পা খাটের উপর খানিকটা ভাজ করা। তাহলে কিভাবে ফাঁস পড়ে মারা গেল??? এমন প্রশ্ন আসা খুব স্বাভাবিক। তাহলে কি সারা রাত ঝুলে থাকার কারণে ফাঁস দেওয়া কাপড়টি বর্ধিত হয়ে ধীরে ধীরে লাশটি নিচে নেমে গেছে??? এই প্রশ্ন আসাটাও অস্বাভাবিক নয়।

কারণ, ঘটনার পর সকালে যখন মেয়েটি দরজা খুলছে না, তখন পুলিশে খবর দেন ডাঃ আব্দুল খালেক। এরপর পুলিশ গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সঙ্গে নিয়ে ওই রুমের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করেছে। ওই রুমে অন্য কোনো দরজাও নেই। যদি হত্যা করে কেউ ঝুলিয়ে রাখে, তাহলে হত্যাকারী বের হলো কোথা থেকে??? ঝুলন্ত লাশের পায়ের কাছে একটা বালতি উপুড় করা দেখা গেছে। হয়তো ওই বালতির উপর দাঁড়িয়েই সে ফাঁস নিয়েছে। এছাড়াও খাটের উপর থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। অতটুকু বয়সের একজন গৃহপরিচারিকার হাতে মোবাইল ছিল!!! এটাও ভাববার বিষয়।

কথাগুলো একারণেই বললাম যে, আজকাল ঘটনা ঘটলেই কোনো ধরণের বিশ্লেষণ, তদন্ত ছাড়াই অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে থাকে। কিভাবে মেয়েটি মারা গেল! হত্যা নাকি আত্মহত্যা! এসব নানা ধরনের মন্তব্য আসতেই পারে। এর সাথে আশেপাশের সকল আলামত তুলে ধরা উচিত। যাই হোক, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসবে, পুলিশ তদন্ত চলছে, নিশ্চয়ই সঠিক বিষয় বেরিয়ে আসবে। আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রতি সেই আস্থা আমাদের আছে। তার আগে কোনো কিছু নিয়ে অতিরঞ্জিত কিছু না করি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)