অপহৃত ১৬ জেলে মুক্তিপণে মুক্ত
ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় নৌকাসহ অপহৃত হওয়া ১৬ জেলেকে একদিন পর মুক্তিপন দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী। তবে জলদস্যুদের বেদম প্রহারে সেলিম মাঝী (৩৮) ও জাকির (৩০) নামে দুই জেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টায় হাতিয়ার মোক্তার খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় ওই অপহরনের ঘটনা ঘটে। অপহৃত জেলেরা হলেন- সেলিম মাঝি, সোহাগ, জাকির, নাজিম, মনজু, মাকসুদ, শাহাদাত, আজগর, ইমাম হোসেন, সাহেদ, জুয়েল, জামাল, শাহে আলম, জাকির-২, নুরে আলম ও রাকিব।
অপহৃত জেলেরা জানান, উপজেলার দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়নের মতিন ফরাজীর নৌকা নিয়ে স্থানীয় সেলিম মাঝির অধীনে মঙ্গলবার তারা মেঘনায় মাছ ধরতে যায়। ওইদিন দিবাগত রাত ৩ টার দিকে হাতিয়া উপজেলার মোক্তার খাল সংলগ্ন মেঘনায় জাল ফেলে মাছ ধরছিলো তারা। এমন সময় হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনীর একটি ট্রলার এসে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং তাদের নৌকার সাথে জলদস্যুদের নৌকা বেঁধে ফেলে। একই সাথে জেলেদের সাথে থাকা সকল মেবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে তাদেরকে (জেলে) চোখ বেঁধে লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতারি মারধর করতে থাকে।
তারা আরও জানান, মারধরের কিছুক্ষণ পরে জলদস্যুরা তাদের নৌকাটিকে একটি নির্জন চরে নিয়ে যায় এবং নৌকার মালিক মতিন ফরাজীর কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে অপহরনের একদিন পর নৌকার মালিকপক্ষ মুক্তিপনের দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেয় জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন জানান, থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। ঘটনাটি ঘটেছে মেঘনা নদীর হাতিয়া সীমানায়। তবু আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। জলদস্যুদের ধরতে মেঘনায় অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।