পাথরঘাটায় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার ঘটনাকে অাত্মহত্যা বলে ধামা-চাপার অভিযোগ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড কালিবাড়ি গ্রামের ময়না বেগম (৩২) নামে ৩সন্তানের এক জননীকে স্বামী কর্তৃক পিটিয়ে হত্যার ঘটনা লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে অাত্মহত্যা বলে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করে অাসছে বলে অভিযোগ করেছেন ময়নার পিতা মোঃ ইউসুফ। এঘটনায় গত রবিবার ৫ জুলাই পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগে ইউসুফ বলেন গত ১৬ মে ২০ তারিখ যৌতুকের দাবীতে তার মেয়ে ময়না বেগমকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে ময়নার স্বামী মিরাজ।
মিরাজের নির্যাতনে ময়না বেগম জ্ঞান হারালে নিজে বাঁচার অপচেষ্টায় ময়নার মুখে বিষ ঢেলে দেয় স্বামী মিরাজ ও তার শ্বাশুরী জাহানারা বেগম এবং ময়নার ভাসুর জাহাঙ্গীর ।
পরে প্রতিবেশীরা ফোনে উক্ত ঘটনা ময়নার পিতা ইউসুফকে জানালে ইউসুফ মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে নিয়ে অাসলে কর্তব্যরত ডাক্তার ময়নাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নার পিতা ইউসুফ বলেন মেয়ের মৃত্যুর পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ মেয়ের লাশ থানায় নিয়ে লাশ ময়না তদন্ত করার কথা বলে এসঅাই রাজেত অালি একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
তিনি বলেন অামি কোন লেখা- পড়া করতে পরিনি। শুধু নিজের নাম লিখতে পারি,তাই ওই কাগজে কি লেখা ছিল তা অামি বুঝতে পরিনী। পরবর্তীতে মেয়ের ব্যাপারে অামি হত্যা মামলা করতে গেলে এস অাই রাজেত অালি বলেন অাপনার মেয়ের ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে তাই এখন হত্যা মামলা করা যাবেনা।
ইউসুফ বলেন অামার মেয়ের হত্যাকারি ঘাতক মিরাজের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশ অামার মেয়ের হত্যা ঘটনাকে অাত্মহত্যা বলে ধামাচাপ দেওয়ার অপচেষ্টা করে অাসছে।
এব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে মিরাজের প্রতিবেশীসহ এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন উল্লেখিত ময়না বেগমকে প্রায়ই মিরাজ শারিরীক নির্যাতন করতো।
এলাকাবাসী বলেন মিরাজের শারিরীক নির্যাতনের কারনে অগনিতবার শালিস মিমাংসা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান ও ৪,৫, ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাধুবী রাণী এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য প্রমথ রায়, পার্শবতি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজালাল এর কাছে জানতে চাইলে তারা ময়নার ওপর মিরাজের শারিরীক নির্যাতনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন মিরাজ ময়নাকে অনেকবার শারিরীক নির্যাতন করেছে।
যার ফলে বিষয়টি নিয়ে অনেকবার শালিস মিমাংসা হয়েছে।
তারা বলেন ময়নার মৃত্যুর অাগের দিনও মিরাজ ময়নাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেছে বলে বিভিন্ন লোকের বাছে শুনেছি।
এব্যাপারে এস অাই রাজেত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন মৃত্যু ব্যক্তির ময়নাতদন্তের
সকল রিপোর্ট পাওয়ার পরে অাইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।