এন্ড্রু কিশোরের শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না
অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের জীবনের শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না। সোমবার সন্ধ্যায় গুণী এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুর সংবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তার স্বজন ও উপজেলাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সবশেষ এন্ড্রু কিশোর সস্ত্রীক কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের পৈত্রিক ভিটায় বেড়াতে এসেছিলেন। এ সময় তিনি তার পৈত্রিক ভিটায় একটি ‘প্রার্থনাকুঞ্জ’ করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন তার স্বজনেরা। কিন্তু তার এই ইচ্ছা আর পূরণ হলো না।
এন্ড্রু কিশোরের কাকাতো ভাই পূর্ণদান বাড়ৈ বলেন, আমার কাকা এন্ড্রু কিশোরদার বাবা ক্ষীতিশ বাড়ৈর কর্মস্থল ছিল রাজশাহী। তিনি ওখানে চিকিৎসা পেশায় জড়িত ছিলেন। ওখানেই এন্ড্রু কিশোরের জন্ম। তবে তার বাবার জন্ম কোটালীপাড়ায়।
তিনি আরো জানান, এন্ড্রু কিশোরের বাবা ক্ষীতিশ বাড়ৈ বরিশালে মিশনারি স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে রাজশাহীতে কর্মজীবন শুরু করেন। তবে তিনি তার পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিবছরই কোটালীপাড়ায় বেড়াতে আসতেন।
এন্ড্রু কিশোরের অপর এক কাকাতো ভাই এলিও বাড়ৈ বলেন, গত ৭ মাস আগে এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। আমাদের যে কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে তিনি আমাদের সহযোগিতা করতেন। বিভিন্ন সময়ে ফোন করে আমাদের খোঁজ খবর নিতেন। এন্ড্রু কিশোর একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে দেশের সকল সংগীতপ্রেমীরাই শোকাহত। দেশের এই মহান সংগীতশিল্পীর পৈত্রিক বাড়ি কোটালীপাড়ায়, এটা সত্যিই কোটালীপাড়াবাসীর জন্য গর্বের। আমরা এই গুণী শিল্পীর স্মৃতি রক্ষার্থে কোটালীপাড়ায় একটি সংগীত একাডেমি বা সংগীত স্কুল স্থাপনের জন্য চেষ্টা করবো।