র্যাবের সাথে বনদস্যুদের গোলাগুলিতে সুন্দরবনে নিহত ৩
সুন্দরবনে র্যাবের ‘কর্ডন এন্ড সার্চ কম্বিং’ অপারেশনে বনদস্যুদের সাথে গোলাগুলিতে তিন যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় পাঁচ বনদস্যুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এছাড়া মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৩টি গুলি, ১৭টি গুলির খোসা এবং বিপুল পরিমাণ দেশিয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তবে নিহতরা কোন দলের সদস্য তা বিস্তারিত জানতে পারেনি। নিহতদের বয়স ২৪ থেকে ২৫ বছর এর মধ্যে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ জুন থেকে ২৮ জুন সকাল সাতটা পর্যন্ত টানা ৫৭ ঘন্টা সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জে র্যাবের সদর দপ্তরের সহযোগিতায় খুলনার র্যাব-৬ এই অভিযান পরিচালনা করে বলে রোববার বিকেলে র্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে এসে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০১৬ সালের ৩১ মে মাস্টার বাহিনীর প্রধান মাস্টারের আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে সুন্দরবন দস্যু মুক্ত করার অগ্রযাত্রার সূচনা হয়। এরপর একেএকে সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তিতে থাকা ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অঙ্গীকার করে। সরকার এদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মানুষদের জীবিকা, সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করতে এলিটফোর্স র্যাব সব সময় কাজ করে যাবে। সুন্দরবনের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় যাতে নতুন করে কোন দস্যুবাহিনী গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ বলেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর দেশের প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। সম্প্রতি সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জে দস্যুদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তরের সহযোগিতায় গত ২৫ জুন সুন্দরবনের দশ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় কর্ডন করে র্যাব-৬ ‘কর্ডন এন্ড সার্চ কম্বিং’ অপারেশনে নামে। হেলিকপ্টারসহ দ্রুতগামি আধুনিক নৌযান ব্যবহার করে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।