করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যু আরো ৩৮, শনাক্ত ৩,৮০৩
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮০৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩৪৩ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩১ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩৪৩ জনের।
জানানো হয়, নতুন যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, বরিশাল বিভাগের একজন, ময়মনসিংহ বিভাগের একজন এবং রংপুর বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৪ জন এবং বাসায় ১৪ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৭৫ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৯টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ২৫৯টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ৮০৩ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৩টি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬১টি ল্যাবের মধ্যে ৫৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলে এই তথ্য এসেছে বলে জানান তিনি।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৭৪ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪০০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ১৭ হাজার ৮৭১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ছয় হাজার ৮৪৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ২৬ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৮২১ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৬০৫ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ৩২ হাজার ৬৪১ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬২ হাজার ৭০৬ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে দুই লাখ দুই হাজার ৭২৫টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে এক কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৪ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো আটজন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩৭০ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।