পাথরঘাটায় করোনা নিয়ে শশুর বাড়িতে আত্মগোপন, অবশেষে উপসর্গ নিয়ে শশুরের মৃত্যু
বরগুনার পাথরঘাটার করোনা পজেটিভ হওয়া জামাই শশুর বাড়িতে এসে আত্মগোপন করে। এর পর উপসর্গ দেখা স্ত্রী, শশুর ও শাশুড়ির। নমুনা পরীক্ষায় ফলাফলে আসে শাশুড়ি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে শাশুড়ির থেকে দিন দিন বেশী অসুস্থ হয়ে পড়েন ফলাফল নেগেটিভ আসা শশুরের।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাঃ মেহেদী হাসান।
এর আগে পাথরঘাটা পৌরশহরের জুতা ব্যাবসায়ী মিজানুর রহমান মল্লিক ঢাকা থেকে আসার পরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সে তার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে আত্নগোপন করে। পরে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে তার নমুনা পাঠানো হয়।
সে সময় তার করোনা পজেটিভ আসে। পরে তার শশুর বাড়ির লোকজনের একই ভাবে উপসর্গ দেখা দিলে তার নমুনা সংগ্রহ করে রির্পোটের জন্য পাঠালে ১ জুন দুপুরে শাশুড়ির রেপোর্ট পজেটিভ আসে।
উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু নজরুল ইসলাম মৃত্যু মমিন উদ্দিন ফকিরের ছেলে। তিনি পাথরঘাটা পৌরসভার তিন নাম্বার ওয়ার্ডের হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা।
নজরুল ইসলামের শ্যালক বেলায়েত হোসেন ফরেষ্টার জানান, তার দুলাভাই সাবেক বন বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। তার করোনা পরিক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসার পরেও শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। গত তিনদিন ধরে শ্বাস ও কাশি বৃদ্ধি পাওয়ায় খাবার দাবার বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরো জানান ধারণা করা হচ্ছে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।
দীর্ঘদিন নজরুল ইসলামের বাসা লকডাউন থাকায় বাসায় তিনি সহ তার স্ত্রী ও মেয়ে অবস্থান করে আসছিলেন।