পাথরঘাটায় চিকিৎসক সহ পরিবারের তিন জনের করোনা, ঝুঁকিতে চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্টরা
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় নতুন করে আরো তিন জন সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটি শেষে যোগদান করা চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে যোগদান করে চিকিৎসা দেয়া রোগীসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্যান্য চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা।
গত শুক্রবার পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার রাতে রিপোর্ট আসে নতুন করে তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাঃ মেহেদী হাসান।
জানা যায়, আক্রান্ত চিকিৎসকের নাম লাবনী তালুকদার। তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে ৮ জুন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করে রোগীদের সেবা প্রদান করেন। এর আগে তিনি ঢাকায় অবস্থান করে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটানোর পর পাথরঘাটায় এসেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার লাবনী তালুকদার মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে এসে হাসপাতালে আগত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে। হঠাৎ তার জ্বর, ঠাণ্ডার উপসর্গ দেখা দিলে আমরা গত ১২ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করি। তার সাথে আরও অনেকের নমুনা বরিশাল প্রেরণ করি।’
‘এর মধ্যে ১৩ জুন রাতে রিপোর্ট আসে ডাক্তার লাবনী তালুকদার সহ পরিবারের তিন জনের করোনা পজিটিভ। এ নিয়ে বর্তমানে পাথরঘাটা উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জনে। এর মধ্যে ৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছে’, বলেন তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হুমায়ূন শাহিন খান পাথরঘাটা নিউজকে জানান ‘ডাক্তার লাবনী তালুকদারকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু তিনি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে পরিচালনা করেছেন। সেহেতু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, রোগী ও সংশ্লিষ্টরা ঝুঁকিতে রয়েছে।’ সে কারনে তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।