পাথরঘাটার যে রাস্তায় মানুষ হাটেনা
বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের হল রোড এলাকা। শহরে প্রবেশের যাতায়াতের প্রধান সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম সড়ক এটি। সড়কের সংস্কার কাজ দির্ঘদিন বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণের।
পৌর এলাকার ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডসহ সদর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। পাথরঘাটা থানা থেকে সাবেক টিটু সিনেমা হল পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কটি প্রায় পাচ বছর খানাখন্দে থাকার পর ২ বছর আগে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে থেমে যায়। যার জন্য সামান্য বৃষ্টিতেই এ সড়কে চলাল বন্ধ হয়ে যায় পথচারী ও জনসাধারণের।
এই সড়কটি নিয়ে গত দু’দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে বেশ কয়েকটি ছবি। যাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।
ভাইরাল হওয়া ছবির কিছু মতামত পাথরঘাটা নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
সানজিদা জুই লিখেছেন “এতোটুকু একটা শহর অথচ দু একটা রাস্তা ছাড়া সবই এরকম বেহাল দশা।উন্নয়নের জোয়ারে দেশ একদম তলিয়ে গেছে। জন প্রতিনিধি দের লজ্জা শরম ও চলে গেছে।খেতে খেতে দিশেহারা।”
এমডি রেজাউল ইসলাম নামে এক জন লিখেছেন “যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাদের অবহেলার দরুন এই অবস্থা, তাদের ( শুয়োরদের) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। স্থান: হল রোড, পাথরঘাটা পৌরসভা।”
“মেয়র মহোদয়ের এবিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া উচিৎ। কেন এমন অবস্থা, কতদিন এমন থাকবে ?” বলে যানতে চেয়েছেন মির্জা খালেদ।
খসরু ফয়সাল “দেশের কোন নেতা ভালো আছে এখন সবগুলা চাউল চোর তেল চোর রাস্তা চোর ব্রিজ চোর কালভার্ট চোর চোরে ছয়লাভ যে যেভাবে পারছে চুরি করতেছে জবাবদিহি করতে হয়না” লিখে মতামত প্রকাশ করেছেন।
ভবেষ সরকার লিখেছেন “সমস্যা অনেক বছর আগে থেকেই। বৃষ্টি বেশি হলে এই রাস্তায় রিকশা ঢুকতে চায় না। আগে শুনতাম চোয়ারম্যান বিরোধী দলের তাই কাজ হয়না। এখন তো — কি আর বলার।”
শুধু এই রাস্তাটিরই বেহাল দশা নয়? খোঁজ নিয়ে জানা প্রায় ১৪ বর্গ কিলোমিটার পৌর এলাকার সব কয়টি রাস্তার একই দশা।
এই রাস্তার করুন পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য পাথরঘাটা নিউজে অনুরোধ জমা হয়েছে দীর্ঘ।