তালতলীতে অবৈধভাবে সরকারি স্টল দখল করে ব্যবসায়ী সমিতির অফিস নির্মাণ
তালতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলী উপজেলা শহরের একটি মাত্র সরকারি স্টল তাও অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসায়ী সমিতির অফিস নির্মাণের কাজ চলছে। প্রশাসন বলছে সরকারি নিয়মের বাহিরে কেউ কিছু করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার (০৮ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাজমিস্ত্রী সেই স্টলঘরের চার পাশ দিয়ে দেয়াল টেনে দিচ্ছেন।
জানা যায়, উপজেলা শহরের মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় ২ যুগ আগে বাজার উন্নয়নের টাকা দিয়ে একটি স্টলঘর নির্মান করা হয়। প্রতি সপ্তাহে বাজারের সময় ভাসানী ব্যবসায়ীরা এই স্টলে বসে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছে। এই বাজারের একমাত্র স্টলঘর এটি। তালতলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্দিষ্ট কোনো অফিস ঘর না থাকায় এ স্টলটি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে নিজস্ব অফিস নির্মাণ করছেন বাজার কমিটির সদস্যরা । রাজমিস্ত্রী দিয়ে সেই স্টলঘরের চার পাশে দেয়াল টেনে দিচ্ছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছে তালতলীর বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এদিকে ব্যবসায়ী সমিতির একটি সূত্র জানিয়েছে, তালতলী উপজেলা পরিষদের একটি মিটিংয়ে বাজারের এই স্টল ঘরটি ব্যবসায়ী সমিতির অফিস ঘর হিসেবে রেজুলেশন করে নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ করতে একাধীক স্থানীয়রা বলেন, এই বাজারের একটি মাত্র সরকারি স্টলঘর তাও বাজার কমিটি অবৈধভাবে দখল করে নিতেছে। এতে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হবে। ভোগান্তিতে পড়বে ভাসানী ব্যবসায়ীরা। তারা প্রশাসনের কাছে এই স্টল ঘরটি ব্যবসায়ী সমিতির অফিস না করে পূর্বের মত স্টল হিসেবেই ব্যবহার করার দাবী জানান।
এ বিষয়ে বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলম মুন্সী বলেন, এই স্টলঘরটি প্রায় ২ যুগ আগে বাজার উন্নয়নের টাকায় নির্মাণ করা হয়। এটা কোনো সমিতির বা ব্যক্তি মালিকানা ভাবে দখল করার প্রশ্নই আসেনা। যদিও এটা দখল করে দেয়াল টেনে অফিস স্থাপন করেন সেটা বৈধ হবেনা।
তালতলী ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান ফারুক বলেন, এটা কোন ব্যক্তিগতভাবে নেয়া হয়নি। ব্যবসায়ী সমিতির জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে রেজুলেশন করে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদ একটি মিটিংয়ে এরকম একটি বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু এটা পাস হয়েছে কিনা আমি জানিনা। তবে সরকারি স্টল ঘর দখল করে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক কোন প্রতিষ্ঠান হওয়ার কোন নিয়ম নেই।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারি স্টল ঘরে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে না এটা যদি কেউ করে থাকে তাহলে অনিয়ম করবে। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে কোনো রেজুলেশন হয়েছে কিনা জানতে হবে।
জেলা প্রশাসক মো.মোস্তাইন বিল্লাহ্ বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভালো বলতে পারবে। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। যদি সরকারি স্টল দখল বা অনিয়ম করে কিছু হয় তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।