বরগুনার পাথরঘাটায় পরকিয়ার জেরে তিন সন্তানের মাকে নিয়ে পলায়ন
বরগুনার পাথরঘাটায় পরকিয়ার জেরে তিন সন্তানের মাকে নিয়ে পলায়ন
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিবাড়ির ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাফিজ খাঁ (৫৫) পরকিয়ার জেরে তার প্রতিবেশী হনুফা (৪০) বেগম (তিন সন্তানের মা) কে নিয়ে পলায়ন করে। প্রতিবেশী হনুফা বেগমের স্বামীর নাম কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিবাড়ির ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছগির হেসেন (৪৫)। তার স্বামী এর দারিদ্রতার সূযোগ নিয়ে সে প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত। পরবর্তীতে হাফিজ খাঁ তাদের টাকা পয়সা ধার দিত ও আরো বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করত। এর হনুফা বেগমের স্বামী বা পাড়া প্রতিবেশীরা সন্দেহ করত না। এই সুযোগে তারা তাদের মধ্যে এক ধরনের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
হাফিজ খাঁ ও হনুফা বেগম তার স্বামী ছগির হেসেন এর ঘরে থাকা নিয়ে একই উপজেলার গোলবুনিয়া নামক গ্রামে পালিয়ে যায়।হনুফা বেগমের বাবার বাড়ি কালমেঘা ইউনিয়নের পূর্ব কালমেঘার গোলবুনিয়া নামক গ্রামে। স্থানীয় লোকজন পালিয়ে আসার ঘটনা জানতে পেরে ধরে ইউপি সদস্যের হাতে তুলে দেয়। পরে ইউপি সদস্য উভয়পক্ষের অভিভাবক ডেকে সব শুনে মেয়েকে মেয়ের বাবা ও হাফিজ খাঁকে তাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য এর হাতে তুলে দেয়।
আমাদের প্রতিনিধি রাজু আহমেদ সড়জমিনে গেলে উঠে আসে অরো অনেক তথ্য।
ভুক্তভোগী ছগির হেসেন জানান, আমি প্রথমে সন্দেহ করতাম না। আমার প্রতিবেশীরা আমাকে মাঝে মাঝে অনেক কিছু বলত। একদিন আমি নিজেই তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলি। তখন হাফিজ খাঁ আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি মানসম্মান ও তিনটা সন্তানের দিকে তাকিয়ে কাউকে কিছু বলিনি। মনে করেছি ঠিক হবে। কিন্তু তারা ঠিক না হয়ে আমার কিছু টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্যরা সালিসী করলেও আমার টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার ফেরত দেয়নি। কারো কোন বিচার করেনি। আমি এর বিচার চাই।