আমতলীতে সসন্ত্রাসী হামলায় বাড়ীঘর ভাংচুর, স্বামী- স্ত্রীসহ আহত- ৪
বরগুনার আমতলীতে জমিজমা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বামী- স্ত্রীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুত্তি চলছে বলে জানায় আহতদের পরিবার।
আহত পরিবার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামের ফোরকান গাজীর সাথে আলী হোসেন হাওলাদারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রিবোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটে। জমিজমা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থাণীয় প্রভাবশালী জাকির প্যাদা ফোরকান গাজীর পক্ষ নিয়ে তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী জাহিদুল মৃধা, বেল্লাল প্যাদা, জালাল প্যাদা, ফোরকান গাজী, তোফাজ্জেল মৃধা, রিয়াজ প্যাদা, সালাম হাওলাদার, শাকিল মৃধা, খলিল বিশ্বাস, খোকন বিশ্বাস, খাইরুল বিশ্বাস, রাসেল গাজী, জাহাঙ্গির মৃধা ও জামাল মোল্লা দেশিও অস্ত্র নিয়ে আলী হোসেন হাওলাদারের বাড়ীতে ঢুকে বসতঘর কুপিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর করে। এতে বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা আলী হোসেন হাওলাদার (৫৫) তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৪৫) পুত্র আল আমিন (১৮) ও মারুফকে (১৪) পিটিয়ে গুরত্বর আহত করে। এসময় মাহিনুর বেগমের সাথে থাকা স্বর্নলংকার ও আলী হোসেনের সাথে থাকা নগদ নগদ টাকা জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পরে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে তাদের চিকিৎসা করান।
আহত আলী হোসেন হাওলাদারের মেয়ে নাসিমা বেগম সীমা জানান, হলদিয়া ইউনিয়নের ত্রাস, ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী মোঃ জাকির হোসেন প্যাদার নেতৃত্বে পূর্বচিলা ও ছোনাউঠা গ্রামে রয়েছে তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকার সকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে সরাসরি জাকির প্যাদা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী জড়িত। জাকির প্যাদা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারনে এলাকার মানুষদের সবসময় ভয়ের মধ্যে বসবাস করতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম রয়েছে। আহতদের মধ্যে মাহিনুর বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাকির হোসেন প্যাদা মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, এলাকায় তার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই। মারামারির ঘটনা ঘটেছে সেটা সত্যি। তবে মারামারির সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়েছি। আহতরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।