কাঁঠালিয়ায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর মুক্তিপণ দাবি, দুই নারীসহ গ্রেপ্তার ৬
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এক কলেজছাত্রীকে বখাটেরা আটকে রেখে ধর্ষণের পরে অভিভাবকদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। মেয়েটি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মাঝেরপুল এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত দুই নারীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রাতেই নির্যাতনের শিকার মেয়েটি বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় মামলা দায়ের করে।
পুলিশ জানায়, মেয়েটির সাথে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রিমন হাওলাদার তানভীরের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের পরে প্রেমের সর্ম্পক হয়। গত ২৬ মে তানভীর তার বন্ধু রায়হানকে নিয়ে নাজিরপুরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। ওই দিনই মোটরসাইকেলযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিয়ে যাওয়ার পথে কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মাঝেরপুল এলাকায় বখাটে রিপন জমাদ্দার, আফজাল ও রাকিবসহ কয়েকজন যুবক তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইলফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই ছাত্রীকে পাশের একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা।
তাদের তিনজনকে স্থানীয় হোসনেয়ারা বেগমের ঘরে তিন দিনধরে আলাদা আলাদা কক্ষে আটকে রেখে অভিভাবকদের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে মোবাইলফোনে মুক্তিপন দাবি করে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তানভীরের অভিভাবক বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তিপণের ৩০ হাজার টাকা বখাটেদের হাতে তুলে দেওয়ার সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় কাঁঠালিয়া থানার পুলিশ বখাটে রিপন জমাদ্দারকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী হোসনেয়ারা বেগম, তার মেয়ে, বখাটে আক্কাস, বেল্লাল ও রাকিবকে আটক করে।
এ ব্যাপারে কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কলেজছাত্রী, তার প্রেমিক তানভীর ও বন্ধু রায়হানকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।