করোনা ঠেকাতে মন্দিরে নরবলি, কাটা মুণ্ডু দিয়ে পুজা
ভারতে করোনা মহামারি ঠেকানোর নামে মন্দিরে এক ব্যক্তিকে হত্যা করছেন স্বয়ং পুরোহিত। এরপর ওই ব্যক্তি কাটা মাথা দিয়ে পুজা দিয়েছেন ওই নরাধম। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেখানকার উড়িষ্যা রাজ্যে। পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করলেও স্থানীয়রা বলছেন অন্য কথা। তাদের দাবি, সম্পত্তির লোভেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘুটিয়েছেন। এখন সাজা থেকে বাঁচতে ধর্মের অজুহাত দিচ্ছেন।
যদিও ওই পুরোহিত দাবি করেছেন, তিনি স্বপ্নে দেখেছেন মন্দিরে নরবলি দিতে হবে। এতে তুষ্ট হবে ভগবান। এরপরই ভারত থেকে বিদায় হবে করোনা মহামারি।
এরপর ওই পুরোহিত মন্দিরের ভিতর কুড়াল দিয়ে এক ব্যক্তিকে খুন করেন। এরপর ওই লোকের ধর থেকে মাথাটা আলাদা করে ফেলেন এবং সেই কাটা মুণ্ডু সামনে রেখে পুজো দেন।
গত বুধবার রাতে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে উড়িষ্যার কটকে, নরসিংহপুর থানা এলাকায় বাঁধহুদা গ্রামের কাছে এক মন্দিরে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতেই সংসারী ওঝা নামে মন্দিরেরই সত্তোরোর্দ্ধ পুরোহিতের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
পুরোহিতের হাতে নিহত ওই ব্যক্তির নাম সরোজকুমার প্রধান (৫২)। মন্দিরের ভিতর থেকে ইতিমধ্যে মরদেহ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই নরহত্যা ঘটনোর পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে থানায় এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই পুরোহিত। আর তিনি স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত হয়ে খুন করেছেন বলেও দাবি করেন।
তবে ৭২ বছর বয়সী ওই পুরোহিতের দাবি ধোপে টিকছে না। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই পুরোহিত সংসারী ওঝার সঙ্গে একটি আমবাগান নিয়ে নিহত সরোজের বিবাদ চলছিল। ওই আমবাগানটি দখলের উদ্দেশ্যেই স্বপ্নাদেশের নামে তাকে খুন করেছেন ওই পুরোহিত।
কটকের পুলিশ জানাচ্ছে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও ওই লোভী ও নিষ্ঠুর পুরোহিতের বিরুদ্ধে পুলিশ কি ব্যবস্থা নিচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ডিজিটাল যুগে যখন মোদি সরকার চাঁদে মাহাকাশ যান পাঠায়, তখনও দেশটিতে এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটে। আর সেখানে ধর্মের নামে পার পেয়ে যায় এসব ভণ্ড সাধু ও পুরেহিতরা।(তথ্য সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন)