তালতলীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
তালতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮মে) সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এর আগে গত সোমবার (২৫ মে) ঈদের দিন সন্ধা বেলা উপজেলার বরবগী ইউনিয়নের কাজিরখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত২৫ মে বিকালে কাজির খাল ও মোমেপাড়া এলাকায় একটি প্রতিফুটবল খেলার আয়োজন করে। খেলার এক পর্যায় দু পক্ষের লোকজন বাক বিতন্ডায় জরিয়ে জহির হাং সজিব কে চর থাপ্পড় দেয়ে। পরে সন্ধার দিকে এ ঘটনার মিমাংসার কথা বলে স্থানীয় পাশবর্তী এলাকার ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জহির ও রাজিবসহ কয়েক জনকে বড়বাড়ি দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। ইউপি সদস্য ও তার ভাই মাসুদ সহ ১৫ থেকে ২০ জন ঘটনা স্থানে আসে। এর কিছু সময় পরে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনের ছোট ভাই মাসুদ হাওলাদারের নেতৃত্বে সঙ্ঘবদ্ধ একটি দল হঠাৎ পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে রাজিব পায়ের রগ কর্তন, জহিরের হাত ভেংগে ও সোহেলকে বেধড়ক ভাবে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে অবস্থা গুরুতর হলে একজনকে পটুয়াখালী হাসপাতালে ও অন্য দুইজনকে দুজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে হামলাকারী হামলার বিষয়ে স্বীকার করা একটি মোবাইল রেকর্ডও সাংবাদিকদের কাছে দিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
নাম প্রকাশ করতে না করতে একাধীক স্থানীয়রা বলেন, ফুটবল খেলার সময় কথার কাটা কাটি হওয়ার বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য জসিম নিজেই রাজিব ও জহিরকে ডেকে নিয়ে যায় তার কিছুক্ষন পরেই মাসুদ হাওলারের নেতৃত্বে রাজিব ও জহিরকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।
তারা আরো বলেন, মাসূদ জসিম মেম্বারের ছোট ভাই সে খুন ডাকাতি সহ একাধিক মামলার আসামি। ইউপি সদস্য এই ঘটনার সমাধান করতে ডেকে নেয়নি। সে আসছে তাদের উপর চরথাপ্পরের বদলা নিতে। যার জন্য এই হামলা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধরন সম্পাদক ইউসুপ হাওলাদার বলেন, এই হামলার বিষয়ে সন্ত্রাসী বাহীনির লোকজন আমার কাছে মোবাইলে স্বীকার করেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
তবে ডাক্তার বলছে আহত রাজিবের পায়ের রগ কেটে যাওয়াতে সে স্বাভাবিক জীবননে ফিরতে পারবে না।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন,আমি ওখানে গেছি দুই পক্ষকে মিমাংশা করে দিতে। কিন্তু যেটা ঘটেছে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাকে নিয়ে যেটা বলতেছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর এই গ্রুপেরও একজ আহত হয়েছে ।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলম মুন্সী বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা আসলেই অনাকাঙ্ক্ষিত । তবে রোগি সুস্থ হলে দুই পক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা করা হবে।
এ বিষয়ে তালতালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।