দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

স্থলভাগে আঘাত হানার পর কিছুটা শক্তি কমেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের। সকালের মধ্যেই এটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার দিনগত রাত দেড়টায় ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি মধ্যরাতে দুর্বল হয়ে উত্তরের দিকে অগ্রসর হয়ে ঝিনাইদহ জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দের ৭৫ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটার, যা আরও দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সতর্ক সংকেত
মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর পুনঃ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকে দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম ও কক্সাবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর পুনঃ বিপদ সনকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার দ্বীপসমূহের ৯ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
জলোচ্ছ্বাসের সর্তকতা
ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষদিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল,লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী,চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে পনেরো ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।