দুর্বল বেরিবাঁধ ঝুঁকিতে পাথরঘাটার কয়েক লাখ মানুষ
উপকুলীয় বরগুনার পাথরঘাটায় দুর্বল বেরিবাঁধের কারনে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে পাথরঘাটা কয়েক লাখ মানুষ। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার কাকচিড়া, কালমেঘা, চরলাঠিমারা, জিনতলা, পদ্মা এলাকায় মানুষ গুলো রয়েছে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে।
বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী কাওসার আহমেদ জানান বরগুনা জেলার পাঁচটি উপজেলার ৯০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে জিনতলা, চরলাঠিমারা ও পদ্মা গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
বিগত কয়েক বছরে সিডর, আয়লা, মহাসেনের আঘাতে বারবার ভেঙে গেছে ঐ স্থানগুলো। সংস্কার ও পুনঃসংস্কারের পানিউন্নয়ন বোর্ডের বাজেট অপ্রতুলতা ও আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন সসস্যার রয়েছে বলেও জানান তিনি
এদিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা বেড়িবাধেঁর বাহিরে প্রায় ৫শ পরিবার ২৮ বছর ধরে বসবাস করে। এরা সবাই জেলে, এদের বসবাসের কারনে প্রকৃতি দুর্যোগ থেকে নিরাপত্তার জন্য হরিণঘাটা জঙ্গলের পাশ দিয়ে সরকারি ভাবে রিংবাঁধ নির্মান করা হয়। যা গত বর্ষায় দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার কারনে সাগরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানিতে দীর্ঘ দিনের পুরানো বাঁধটি ভেঙ্গে ঐ এলাকা প্লাবিত হয়। যা পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আমাদের সময়কে জানান ইতিপূর্বে সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা, জিনতলা, পদ্মা এলাকার নদী ভাঙ্গনের ফলে ঐ এলাকায় মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপকূলবর্তী নদী গুলো অনেক বড় এবং খর স্রোতা হওয়ায় অমাবরশা-জোয়ারের তিথি, নিম্নচাপ এবং পানি প্রবাহের তীব্র স্রোতে এই বেড়ি বাধ গুলো অন্যান্য জেলার চেয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়