পাথরঘাটায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত, ক্রমশ বাড়ছে বাতাসের গতি ও জোয়ারের পানি

বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। উপকূল জুড়ে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত জারি থাকলেও রাত থেকে কখনও ঘন কালো মেঘ আবার কখনও সাদা মেঘের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য আবার কখনো ভারী বর্ষন। নদীতেও ভাড়তে শুরু করেছে পানি। মহাবিপদ সংকেত থেকলেও এই অঞ্চলের মানুষ এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেনি। আজ বুধবার (২০ মে) ভোর রাত থেকেই দক্ষিনাঞ্চলের পাথরঘাটায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। রাত ১০টার পর ভারি বর্ষণ শুরু হয়ে কিছুক্ষণ পর থেমে যায়। রাত ১১টা থেকে দমকা বাতাসের সঙ্গে থেমে থেমে ভারি বর্ষণ শুরু হয়।
বরগুনা জেলার উপকুলীয় উপজেলা পাথরঘাটায মঙ্গলবার (১৯ মে) রাত থেকেই বৃস্টি শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদ্যুতের ভেলকিবাজি শুরু হয়ে যায়। আর বুধবার সকাল থেকে ঝড়ো বাতাস বইছে, এ কারণে জনমনে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। এ ছাড়া বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাথরঘাটার নিম্নাঞ্চলের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার পর এর বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার হোসেন বলেন, ‘রাত ৯টা পর্যন্ত বরগুনার নদ-নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।