পাথরঘাটায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সারাদিন করলেন জুতা বিক্রি
বরগুনার পাথরঘাটায় করোনা আক্রান্ত এক দোকান মালিক সারাদিন জুতা বিক্রি করেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা খরিদ্দারদের কাছে। এতে করে কতোজন যে এ উপজেলায় সংক্রমণ তা নিয়ে চিন্তিত উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় লকডাউন সিথিল হওয়ার পর অনেক ব্যাবসায়ী ঈদের পন্য সামগ্রী কিনতে ঢাকার পাইকারি বাজারে গিয়ে মালামাল ক্রয় করে পাথরঘাটায় ফিরছেন। এমন খবর পেয়ে পাথরঘাটা বনিক সমিতির পক্ষ থেকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের কাছে নয় জনের নাম উল্লেখ করে তাদের কোয়ারেইন্টান বাধ্যতামূলক করতে আবেদন করেন। বনিক সমিতির নেতারা বলছেন কোয়ারেইন্টান বাধ্যতামূলক না করায় এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে।
বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুণ কর্মকার জানান, করোনার মধ্যে ঢাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অনেকেই প্রকাশ্যে দোকানে বেচাকেনা করেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এদের মধ্যে সংক্রমিত জুতার দোকানের মালিকের নাম ও ছিল। যিনি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ও দোকানদারি করেছেন।
অরুণ কর্মকার জানান, করোনা পজেটিভ আসা দোকান মালিকের থেকে কতজন যে সংক্রমিত হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। প্রয়োজনে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আবারো পাথরঘাটা শহর লকডাউন চান তিনি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, বনিক সমিতির মাধ্যমে নয় জনের একটি তালিকা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হাত পেয়ে সকলের কাছে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে মানতে বলা হয়েছে। তবে তারা কোয়ারেন্টান না মেনে ব্যাবসা পরিচালনা করেছেন তা বনিক সমিতি থেকে আমাদের জানানো হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হুমায়ুন কবির শাহিন জানান, গতকাল রাতে বরগুনা জেলার তিন জনের করোনা পজেটিভ রেপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে দুজন পাথরঘাটার অপরজন বরগুনার। করোনা আক্রান্ত নিয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করার খবরে তিনি আশ্চর্য হয়ে বলেন এ উপজেলা এখন ঝুঁকি মধ্যে রয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, করোনা পজিটিভ আসা পাথরঘাটার দুই রোগীকে আইশোলেশনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।