পাথরঘাটার সৈকতকে কারাগারে প্রেরণ, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ
পাথরঘাটায় প্রেমের প্রস্তাব সাড়া না দিলে শিক্ষার্থীকে এসিড মেরে ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেওয়া কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান ও পাথরঘাটা পৌর প্রজন্ম লীগের সাবেক সভাপতি সৈকত হোসেনের কাছ থেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিক। এর আগে গতকাল রবিবার বিকেলে তাকে ইয়াবাসহ আটক করেছে স্টোশন কোস্টগার্ড পাথরঘাটা।
সৈকত হোসেন উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নে হোগলাপাশা গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে এবং পাথরঘাটা পৌর প্রজন্ম লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি।
সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পাথরঘাটা থানা পুলিশ সৈকতকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিকের আদালতে হাজির করে।
পাথরঘাটা থানা পুলিশের সাব ইন্সেপেক্টর মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই প্রতিবেদক কে জানান যে আসামী সৈকত হোসেন ইয়াবা সহ আটক হবার পর ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করতে চেয়েছেন। সে মোতাবেক ১৬৪ ধারায় আসামীর দোষ স্বীকারের জন্য আদালতের নিকট আবেদন করা হইয়াছে। আদালতে হাজির করার পর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুব্রত মল্লিকের নিকট আসামী ১৬৪ ধারায় নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি শেষে বিচারক আসামীকে বরগুনা জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করিয়াছেন।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট জিআরও মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামীর দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে আসামীকে বিকালে চারটার দিকে বরগুনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হইয়াছে।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুত্রে জানা যায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সৈকত হোসেন নিজ উদ্যোগে ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিকের কাছে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে সৈকত ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত মর্মে তার দোষ স্বীকার করেছে। তবে জবানবন্দীতে কি কি বলেছে তা মামলা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হয়নি।
তবে এতে অনেকর নাম সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষখালি ও বলেশ্বর নদের সংযোগ খালের মুন্সিরহাট ব্রীজ এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচা সময় কোস্টগার্ড স্টোশন কমান্ডার মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে সৈকতকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় তার অপর সহযোগী পালিয়ে যায়।
পাথরঘাটা থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায় সৈকতের বিরুদ্ধে থানায় মাদক, মারামারিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।