পাথরঘাটায় চেয়ারম্যানের জিম্মায় থাকা ১২৬ বস্তা চাল নতুন তালিকায় বিতরণ
বরগুনার পাথরঘাটায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের জিম্মায় থাকা ১২৬ বস্তা চাল নতুন তালিকায় বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে ৯ মে জেলেদের চাল দেয়ার সময় তালিকায় অনিয়ম ও কিছু জেলে চাল নিতে না আসায় তাদের চাল চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়।
শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার রবিন্দ্রনাথ হাওলাদার সহ নৌবাহিনীর টহল সদস্যদের সামনে এগুলো বিতরণ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের জেলেদের তালিকায় ৬৯০জনের নাম রয়েছে। এই তালিকায় কিছু জেলের নাম একাধীকবার আসা অপরদিকে ভিজিডি কার্ডের তালিকায় নাম থাকায় তাদের চাল আটকে দেয় ইউপি চেয়ারম্যান। এছাড়াও কিছু জেলে অনুপস্থিত থাকায় চাল নিতে না আসায় ইউপি চেয়ারম্যান আকন সহিদ বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও ট্যাগ অফিসার রবিন্দ্রনাথ হাওলাদারকে লিখিত ভাবে অবহিত করে। তখন তাদের সিদ্ধান্তে মোট ৪৭ জনের ১২৬ বস্তা চাল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব রাখার সিদ্ধান্ত দেন।
এ বিষয় কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যান আকন সহিদ জানান, তালিকায় দুবার আসা ও ভিজিডি কার্ডে নাম থাকা ব্যাক্তিদের নাম বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে জেলেদের নতুন তালিকা করে চাল গুলো বিতরণ করা হয়। তিনি আরো জানান, ৬৯০ জন জেলের জন্য বরাদ্দকৃত ১৮৪০ বস্তা চাল গোডাউন থেকে বের করা হয়েছে। তবে ৪৭ জেলের চাল ১২৬ বস্তা চাল যাতে করে গোডাউনে ফেরত না দিতে হয় সেজন্য ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমার জিম্মায় চাল গুলো রেখে দেয়।
দায়িত্বে থাকা সরকারী কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার রবিন্দ্রনাথ হাওলাদার জানান, চাল গুলো গোডাউনে জমা হলে উপকারভোগীরা এ থেকে বঞ্চিত হতো।
তাই ১২৬ বস্তা চাল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। যা নতুন করে জেলে তালিকার করে তাদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবসময়ই তদারকি করছেন, চাল আত্নসাত কিংবা অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।