করোনায় পাথরঘাটার সম্মূখ সারির যোদ্ধা ইউএনও হুমায়ুন কবির
দুর্যোগ, দুর্ভোগ কিংবা জলোচ্ছ্বাস কোনটিতেই থামাতে পারেনি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে। ফনি, বুলবুলের মতো দুর্যোগের যখন ঘনঘটা উপকূলীয় এলাকায়। তখন তিনি রুহিতা, পদ্মা, জিনতলার বেড়িবাঁধ এলাকার জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠাতে ব্যাস্ত। ঘুর্ণিঝড় পরবর্তীতে খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে তিনিই অসহায় মানুষের পাশে। এর মধ্যে যখন পৃথিবী জুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে তখন ও তিনি রাত্রি দিন ব্যাস্ত পাথরঘাটায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে সরকারের আদিষ্ট নিয়মাবলী কার্যকর করতে। উপজেলাবাসীকে করোনা মুক্ত করতে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন উপকূলীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে তিনি পাথরঘাটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর পরই তিনি উপজেলা প্রশাসনের সকল কার্যক্রম স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তদারকি করে আসছেন। যেকোনো ধরনের অভিযোগ তিনি আমলে নিয়ে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। সম্প্রতি দেশে যখন কল্লা কাটা গুজব ছড়াচ্ছে তখনও তিনি মাঠে নেমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘুরে ঘুরে জনসচেতনামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন। সামাজিক অবক্ষয় ঠেকাতে দুর্নীতি ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তার সম্মুখ পদে থেকে বিরামহীন যুদ্ধ পাথরঘাটাবাসীর হৃদয় কেড়েছে। মহামারি ভাইরাসের ছোবল থেকে পাথরঘাটায় বাসী কে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে উপকূল বাসী কে মূগ্ধ করেছে। ভোররাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অতন্দ্র প্রহরীর মতো ছুটে চলায় চিরকৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন পাথরঘাটা নিউজের প্রকাশক আকন মোহাম্মদ বশির। তিনি জানান আমরা উপকূলীয় পাথরঘাটা এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রবাসে অবস্থান করছি। আমরা সব সময় আমাদের প্রিয় পাথরঘাটার জন্য চিন্তিত থাকি। তবে আমরা দেখেছি উপকূলীয় সকল বিপদে-আপদে পাথরঘাটার খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থেকে ইউএনও হুমায়ুন কবির তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। করোনার মধ্যেও যার ব্যাতয় ঘটাননি তিনি।