পাথরঘাটা কোয়ারেন্টাইনে নেই বিছানা‌ ও ফ্যান, ইফতার করতে পারেনি রোজাদার ব্যাক্তি

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, ১৩ মে ২০২০ | আপডেট: ১০:৩৭ পিএম, ১৩ মে ২০২০

পাথরঘাটা
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারন্টানে নেই বিছানা ও বৈদ্যুতিক ফ্যানের ব্যবস্থা। এমনি কোয়ারেন্টাইনে থাকা দুই ব্যক্তিকে পানি সহ ইফতার সামগ্রী বিতরণ না করার অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ শওকাত হাচানুর রহমান রিমন।
পাথরঘাটা কোয়ারেন্টাইনে নেই বিছানা‌ ও ফ্যান, ইফতার করতে পারেনি রোজাদার ব্যাক্তি
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, আমাকে মোবাইল ফোনে আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তি হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অব্যাস্থাপনা ও সেবা না পাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি মঙ্গলবার (১২ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাথরঘাটা হাসপাতালে গিয়ে এর সত্যতা দেখতে পাই। পরে সেখান থেকে তাদেরকে আমার নিজ ভাড়াটিয়া ফ্লাটের একটি কক্ষে রেখে সেবা নিশ্চিত করছি এবং চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। যতদিনে চিকিৎসক তাদেরকে ছাড়পত্র না দেয় ততদিনই আমিই দেখাশুনা করবো।

এমপি রিমন বলেন, ভারত থেকে চিকিৎসা দিয়ে আসা দুই ব্যক্তিকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য ইউএইচএফপিও এর কাছে বললেও তিনি তাদেরকে হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখলেও সেবা এবং দেখভাল না করার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলনা কোন ফ্যান কিংবা বিছানা। ওই রাগীদের করোনার কোন উপসর্গ না থাকলেও তাদেরকে যেভাবে বদ্ধ ঘরে রাখা হয়েছে তাতে তারা আরও অসুস্থ্য হয়ে পরেছেন।

তিনি আরো বলেন, যখন শুনেছি একজন কিডনী রোগির জন্য পানি এবং রোযাদার ব্যাক্তিকে ইফতার সামগ্রী ও খাবার পানিটুকুও দেয়া হয়নি তখন আমি আর স্থির থাকতে পারিনি। এর দায় ইউএইচএফএপিও আবুল ফাত্তাহ এড়াতে পারেনা বলেও জানান এমপি রিমন।

চিকিৎসা দিয়ে আসা কিডনি রোগী নাইম জানান, আমি কিডনী রোগের চিকিৎসা নিয়ে ভারত থেকে আসার পথে ইমেগ্রেশন সহ সীমান্তে কয়েক ধাপে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেও কোন উপসর্গ পায়নি। তার পরেও পরিবারসহ সকলের কথা বিবেচনা করে বাড়িতে না গিয়েই হাসপাতালে এসেছি। কতৃপক্ষ আমাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখলেও যতটুকু সেবা পাওয়ার কথা তা পাইনি। যেখানে আমাকে প্রতি মুহুর্তে পানি খাওয়ার কথা সেখানে ১৪ ঘন্টায় পানি দেয়া হয়নি। আমার চাচা রোযাদার ব্যাক্তি তাকেও ইফতারী দেয়া হয়নি।

লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের প:প: কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, আমাদের সাদ্য অনুযায়ী তাদের সেবা এবং দেখাশোনা করেছি। পানি ইফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দৈনিক দুইবার খোঁজ খবর নেই তবে পানি এবং ইফতারের বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা ব্যাবস্থা করতাম।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন যদি মাননীয় সংসদ সদস্য হাসপাতালের দিকে সুদৃষ্টি দিতেন তাহলে সমস্যা সমাধান হয়ে যেতো।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)