পাথরঘাটায় জেলে তালিকায় অনিয়ম, ১২৬ বস্তা চাল চেয়ারম্যানের জিম্মায়
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়ন জেলেদের চাল দেয়ার সময় তালিকায় অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রায় ১৩ জন জেলের নাম একাধীকবার এবং ২৪ জন জেলে চাল নিতে না আসায় তাদের চাল চেয়ারম্যানের জিম্ময় রাখা হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও ট্যাগ অফিসার রবিন্দ্রনাথ হাওলাদারকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের জেলেদের তালিকায় ৬৯৫ জনের নাম রয়েছে। ওই তালিকায় প্রায় ১৩ জন জেলের নাম একাধীকবার ও অন্য ২৪ জন জেলে চাল নিতে না আসায় ইউপি চেয়ারম্যান আকন সহিদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসারকে জানান।
এ ব্যাপারে জেলে জসিম শরীফ জানান, আমরা একবারই ৮০ কেজি চাল পেয়েছি। ১৬০ কেজি চাল আমাদের নামে তালিকায় আছে কিনা তা আমরা জানিনা।
এ বিষয় কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যান আকন সহিদ মুঠোফোনে জানান, তালিকার কিছু লোক চাল নিতে না আসায় সেগুলো আমি ট্যাগ অফিসারকে লিখিত জানিয়েছি। বাকি চাল রেখে দেয়া হয়েছে। নতুন করে তালিকা চেয়েছে সেগুলো করে বিতরন করা হবে।
দায়িত্বে থাকা সরকারী কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার রবিন্দ্রনাথ হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, কালমেঘা ইউনিয়নে ৬৯০ জন জেলের ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ ছিল। আমার উপস্থিততে বিতরণ করেছেন। তবে একই ব্যক্তির নামে দুবার ও অনেক জেলে আসেনাই এরকম ৪৭ জনের মোট ১২৬ বস্তা চাল চাল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। নতুন করে জেলে তালিকার করে তাদের মাঝে বিবরন করা হবে। চাল আত্নসাত করার কোন সুযোগ নেই।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির মুঠোফোনের সাংবাদিকদের জানান, কিছু জেলে চাল নিতে না আসার কারনে সেই চালগুলো দেয়া হয়নাই। তবে এক ব্যাক্তির নাম দুইবার আসার কথা আমার জানানেই।