পাথরঘাটায় মা দিবসে মায়ের আত্মহত্যা
বরগুনার পাথরঘাটায় মায়ের রান্না করার চুলার আগুন নিভিয়ে ফেলায় ছেলে বৌয়ের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে মা বিউটি রানী।
বিউটি রানী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুশান্তের মা ও সন্তোষের স্ত্রী। তারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব পদ্মা গ্রামে বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় গতকাল রবিবার দুপুরে রান্না শেষে চুলার আগুন নিভানোকে কেন্দ্র করে ছেলের বৌ বিচিত্রার সাথে বাকবিতন্ডা হয় শাশুড়ি বিউটি রানীর। এনিয়ে অভিমান করে সন্ধ্যা রাতে চালের পোকা দমন ওষুধ খেয়ে মা দিবসেই আত্মহত্যা করে বিউটি রানী।
পাথরঘাটা থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মৃত্যু বিউটি রানী তার স্বামী সন্তোষ, ছেলে সুশান্ত ও ছেলের বৌ বিচিত্রাকে নিয়ে একই ঘরে বসবাস করে। তবে বিউটি নিরামিষভোজী হওয়ায় তিনি ভিন্ন ভাবে একা রান্না করে খেতেন। প্রতিদিনের মত গতকাল রবিবার দুপুরে রান্না করে শাশুড়িকে খুঁজে না পেয়ে চুলার আগুন নিভিয়ে ফেলে ছেলের বৌ বিচিত্রা। কিছুক্ষণ পর বিউটি রানী ফিরে এসে চুলা নিভানো দেখে বিচিত্রার সাথে বাকবিতন্ডা করে। একপর্যায়ে বিউটি রানী এ ঘটনা তার স্বামী সন্তোষকে জানালে তিনি ছেলে বৌয়ের পক্ষ নিয়ে পুনরায় চুলা ধরিয়ে রান্না করতে বলায় অভিমান করে রান্না না শুয়ে থাকে।
পরবর্তীতে রাত সাড়ে আটটার দিকে চালের পোকা দমন ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে বিউটি রানীর মৃত্যু হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে অভিমান করে বিউটি রানী চালের পোকা দমন ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে