বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেল ১১ বন্দী
নভেল করোনা (কোভিড-১৯) মহামারিকে কেন্দ্র করে প্রতিটি জেলার কারাগার থেকে মুক্তি দিবে লঘু অপরাধে দন্ডিত বন্দীদের। সরকার কর্তৃক এমন চমকপ্রাপ্ত ঘোষণাই করা হয়েছিলো।
বরগুনা জেলা কারাগার সূত্রে জানাগেছে, গত ২ এপ্রিল শর্তানুযায়ী বাইশ জন কারাবন্দীর নাম উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি মুক্তির প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছিলো।
গৃহীত প্রস্তাব থেকে ফিরতি চিঠিতে বরগুনা জেলা কারাগারের জন্য এগার কারাবন্দীকে মুক্তি দেয়ার একটি নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কার্যালয়ে। আদেশ পৌঁছানো মাত্রই কারাবন্দীদের মুক্তি দেয়ার জন্য বরগুনা জেলা কারাগার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশানুযায়ী এ পর্যন্ত এগার জন কারাবন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন বরগুনা জেলা কারাগার।
গত ৩ এপ্রিল এক জন ও ৮ এপ্রিল দশ জনসহ মোট ১১ জনকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
২ হাজার ৮ শ’ ৮৪ জন কারাবন্দীকে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্নভাবে পর্যালোচনা করে ক্রমানুযায়ী মুক্তি দিবে। যার কারণে প্রতিটি জেলা কারাগারে মুক্তির সুপারিশ চেয়ে প্রস্তাব চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
প্রত্যেক জেলা থেকে প্রেরণকৃত মুক্তির প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও সর্বশেষ মন্ত্রী পরিষদে পর্যালোচনা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ৪০১ এর (১) ধারা ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। সরকার কর্তৃক লঘু অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং নিম্নত তিন মাস কারাবরণ করেছেন এমন কারাবন্দীদেরই বিবেচনায় নিয়েছেন সরকার।
বরগুনা জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মাধ্যমে মুক্তিযোগ্য; এমন কারাবন্দীদের নামের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছিলাম। যার ফলস্বরুপ হিসেবে এ পর্যন্ত এগার জনকে আমরা মুক্তি দিতে পেরেছি।