ষড়যন্ত্রের শিকার বরগুনার সাংবাদিক সুমন সিকদার
ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বরগুনার সাংবাদিক সুমন সিকদার। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওায় দায়ের করা মামলায় শহরের নিজস্ব অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। সুমন সিকদার নিউজ২৪ টিভি, বাংলাট্রিবিউন এবং দৈনিক দেশ রূপান্তরের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু স্থানীয় দলাদলির জের ধরে তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন।
একই মামলায় আরও তিন স্থানীয় সাংবদকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছ। তারা হচ্ছেন মীর জামাল, ছগির হোসেন টিটু, রমিজ জাবের টিংকু।
খুব অল্প বয়সেই বরগুনা জেলার একজন মূলধারার সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে সুমন শিকদার। বরগুনা জেলা শহরে সুনাম ও সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছিলেন এই সাংবাদিক। কিন্তু তার এই ভালো কাজ অনেকের চোখে কাঁটা হয়ে ফোটে। একারণেই বুধবার রাত ১১টার দিকে অপর তিন আসামীর সঙ্গে গ্রেফতার হতে হয় সুমনকে।
জানা যায়, ঘটনার মুহুর্তে সুমন সিকদার ব্যক্তিগত অফিসের খুব কাছেই হট্টগোলের শব্দ পেয়ে সেখানে কৌতুহল বসত গিয়েছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই সেখানে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সুমন সিকদারকেও। এমন সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় একদল সাংবাদিক বাদি পক্ষকে ম্যানেজ করে ফাসিয়ে দেয় বলে তার দাবি।
সুমন আরো জানান, পেশাগত কারণে টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসকল সংবাদকর্মীদের সাথে দ্বন্দ হয় সুমনের। এছাড়াও সদ্য জন্ম নেয়া বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন গঠিত হয়। সেখানে সদস্য হিসেবে যোগদানের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ায় দ্বন্দ হয় সুমনের সাথে। তারই ফলস্বরূপ এই মামলা।
উল্লেখ্য, বাদী পক্ষের মানিত ১০ জন সাক্ষিগনের মাঝে ৫ জনই বরগুনার প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক।
এ বিষয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল অনুসন্ধান করে যতটুকু জেনেছি, একজন সংবাদককর্মী হিসেবে সেখানে সুমন শিকদার এগিয়ে গেলেও তিনি কোনো অপরাধের সাথে জড়িত হয়নি এবং তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। সুমন সড়যন্ত্রের শিকার। একজন প্রবীন সাংবাদিক হিসেবে আমি বিচার বিভাগের সঠিক তদন্তের দাবি জানাই। বিচার বিভাগের সঠিক তদন্তের পরে সুমন নির্দোষ প্রমানিত হবে বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বরগুনা জেলা কমিটির সম্পাদক মোস্তফা কাদের বলেন, ‘সুমন সিকদারকে অন্যায়ভাবে শত্রু পক্ষ জড়িয়েছে। সে কোনো অপরাধের সাথে জড়িত নয়। পুরো ঘটনায় সুমন নির্দোষ। এখন অবধি তার বিপক্ষে অত্র অভিযোগের নির্ভরশীল কোনো প্রমান মেলেনি।’