পাথরঘাটার দুই চোরাকারবারি সহ আটক ৩, হরিনের মাংস উদ্ধার
সুন্দরবনে জবাই করা হরিণের ৩০ কেজি মাংসসহ তিন হরিণ শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে বন বিভাগ। এ সময় শিকারিদের পেতে রাখা ফাঁদে আটকে পড়া ২২টি হরিণ রক্ষা পেয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের টিয়ারচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বনবিভাগ মাংসসহ এদের গ্রেপ্তার করে।
এ সময় চোরা শিকারিদের ব্যবহৃত ২টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, একটি ডিঙি নৌকা ও ৭০০ ফুট ফাঁদ জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বরগুনা জেলার উপজেলার তালুকের চরদুয়ানি গ্রামের জয়নাল খাঁর ছেলে আবুল খাঁ (৪২), একই উপজেলার কাঁঠালতলি গ্রামের হরিপদ মিস্ত্রীর ছেলে সঞ্জয় মিস্ত্রী (৩২) এবং খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার পানখালি গ্রামের মালেক শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (২৫)।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন সকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের টিয়ারচর এলাকায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে একদল চোরা শিকারি ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছে- এমন সংবাদ পেয়ে বনকর্মীরা সেখানে অভিযানে যায়। চোরা শিকারিরা বনকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তিনজনকে ধরে ফেলে। এ সময় পালিয়ে যায় অন্যরা।
পরে তাদের ব্যবহৃত দুটি ট্রলার ও নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে জবাই করা ৩০ কেজি হরিণের মাংস, শিকারিদের ব্যবহৃত ২টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, একটি ডিঙি নৌকা ও ৭০০ ফুট ফাঁদ জব্দ করে। এই মাংস শিকার করা দুটি হরিণের। নদীতে ফেলে দেওয়ার কারণে চামড়া ও মাথা পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে বন বিভাগের শীর্ষ তালিকাভুক্ত চোরা শিকারি মালেক গোমস্তাও ছিলেন।
টিয়ারচরে চোরা শিকারিদের পেতে রাখা ফাঁদে ২২টি হরিণ আটকে পড়ে ছিল। আমরা ফাঁদে আটকে পড়া হরিণগুলোকে ছাড়িয়ে বনের গহীনে অবমুক্ত করেছি। মালেক গোমস্তার দল সুন্দরবন থেকে হরিণের একটি বড় চালান শিকার করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে ধারণা এই বন কর্মকর্তার।
চোরা শিকারি মালেক গোমস্তার বিরুদ্ধে ৪-৫টি মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে বনবিভাগ চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।