করোনা ভাইরাস তালতলীতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা মানবতার জীবন!

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ৪ মে ২০২০

তালতলীতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা মানবতার জীবন!আমতলী প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলী উপজেলায় প্রতিবন্ধী শিশুদের পাঠদানের জন্য একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেন পাটোয়ারী অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারনে সংক্রমণ রোধে সরকার কর্তৃক দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষক কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানাগেছে, ২০১৪ ইং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিরতিহীন ভাবে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীগন দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ বিনা বেতনে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, থেরাপী ও জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মূলধারার শিক্ষায় অংশগ্রহনসহ নানা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে তারা ভুমিকা রাখতে শুরু করেছে যা জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ে স্বীকৃতি ও পরিদর্শনকৃত এবং বেতন ভাতার জন্য আবেদনকৃত এ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। যাহা বিগত ৬ বছর ধরে ২৪ (চব্বিশ) জন শিক্ষক কর্মচারী বিনা বেতন ভাতায় প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, থেরাপী ও জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষন এর মতো গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। পূর্বে স্কুল পরিচালনা পরিষদ থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের সামান্য কিছু সম্মানী ভাতা দেওয়া হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমনজনিত লকডাউন পরিস্থিতিতে তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই বেতন বিহীন শিক্ষক কর্মচারীগন অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আর্থিক সংকটের মধ্যে তারা অনাহারে অর্ধাহারে থেকে দিনাতিপাত করছে। জাতীর এই ক্রান্তিলগ্নে হতভাগ্য প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টির শিক্ষক কর্মচারীগন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে এই সংকটময় মুহুর্তগুলো মোকাবেলা করবে তা নিয়ে ভাবার মনে হয় আর কেউ নেই।

মহান পেশায় নিয়োজিত অত্র প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টির অসহায় শিক্ষক কর্মচারীগন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংকটময় এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বরগুনা জেলা প্রশাসক ও তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিত্তবানদের তাদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)