আমতলীতে অপহরনের পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১২:২০ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০

ছবিঃ সংগ্রহীতআমতলী প্রতিনিধি:
বরগুনার রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া অপহৃত এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করছে আমতলী থানা পুলিশ। অপহরণকারী মিরাজ হাওলাদারের স্বজন উপজেলার চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়ী থেকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে।

বুধবার অপরূতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি গ্রামের এক কৃষকের কন্যা বরগুনা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। ওই স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে একই উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের শহীদুল হাওলাদারের বখাটে ছেলে মিরাজ হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে উত্যাক্ত করে আসছিল। কিন্তু বখাটে মিরাজের কথায় কর্নপাত করেনি ওই ছাত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয় মিরাজ। করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাবে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে ওই ছাত্রী গ্রামের বাড়ী আমতলীর মানিকঝুড়িতে আসে। গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে ওই স্কুল পড়ুয়া কন্যা বাড়ীতে মায়ের সাথে কাজ করছিল। এমন মুহুর্তে মিরাজ হাওলাদার দুটি মোটর সাইকেলে এসে তার বন্ধুদের সহযোগীতায় ওই কন্যাকে জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। কন্যার ডাক চিৎকারে মাসহ স্বজনরা এগিয়ে আসলেও তাকে রক্ষা করতে পারেনি।

ওই সময় বাবা বাড়ীতে ছিল না। মেয়েকে তুলে নেয়ার খবর পেয়ে বাবা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরেন। পরে কন্যার বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে মিরাজ হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৪ জনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই অপরূতাকে অপহরনকারী মিরাজ হাওলাদারের স্বজন উপজেলার চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বাড়ীতে থাকা অপহরনকারী মিরাজ ও জামালের পরিবার সদস্যরা পালিয়ে গেছে। বর্তমানে অপরূতা স্কুল ছাত্রী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

বুধবার ওই অপরূতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অপরূতার অসুস্থ্য বাবা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ের অপহরণকারী বখাটে মিরাজ হাওলাদারের শাস্তি দাবী করছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোহেল রানা বলেন, অপরূতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত মিরাজ হাওলাদারসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)