মঠবাড়িয়ায় ইউপি সদস্য হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাচ্চু তালুকদার (৩৭) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার রাতে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে এ এস আই নাছির মোল্লা উপজেলার সাফা গ্রাম থেকে বাচ্চুকে গ্রেফতার করা হয়।
বাচ্চু তালুকদার উপজেলার সাফা গ্রামের মজিদ তালুকদারের ছেলে।
নিহত শাহ আলম উপজেলার ধানিসাফা ইউনিয়নের (ফুলঝুড়ি গ্রাম) ৫নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য ছিল।
থানা সুত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই রাত দুইটার দিকে পশ্চিম ফুলঝুড়ি গ্রামের ফিরোজ ফরাজীর বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। এসময় ওই বাড়িতে ডাকাত ডাকাত চিৎকার শুনে প্রতিবেশী শাহ আলম ফিরোজ ফরাজীর বাড়ির দিকে ছুটে যান। এসময় তিনি ফিরোজ ফরাজীর বাড়ির সামনের সড়কে পৌছলে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দলের মুখোমুখি হন। ডাকাত দলের দুই সদস্য আলম মোল্লা ও শাহাদাৎ পঞ্চায়েত ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহ আলমকে কুপিয়ে জখম করেন এবং ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে সড়কের ওপর ফেলে বুকের ওপর পা দিয়ে আঘাত করেন। ওই রাতে স্থানীয় লোকজন শাহ আলমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পর দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৯ জুলাই রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই এইচ এম আকরামুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২ ডাকাত সদস্যকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার দোলোয়ার হোসেন, ইদ্রিস হাওলাদার ও মোস্তফা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয় থানার এসআই দোলেয়ার হোসেন আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে গত বছরের ২৬ আগস্ট জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি ইদ্রিস হাওলাদার ও বাচ্চু তালুকদার পলাতক ছিল। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাচ্চুকে গ্রেফতার করা হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামি বাচ্চু কে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।