কুয়েত থেকে ফোন, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে গর্ভবতীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিলো পাথরঘাটা পুলিশ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে দেশব্যাপী চলছে অচলাবস্থা। রাস্তায় নেই কোনো গাড়ি। এমন অবস্থায় নিরুপায় হয়ে থানায় ফোন দিলেন কুয়েত থেকে এক ব্যক্তি। প্রসূতি আত্মীয় কে হাসপাতালে নিতে চাইলেন পুলিশের সহায়তা। কল পেয়েই পাথরঘাটা থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে থানা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে হাজির হলো পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বরগুনা পাথরঘাটায়।
পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, কুয়েত থেকে পাথরঘাটা থানার সরকারি নাম্বারে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া এলাকায় গত দু’দিন ধরে সন্তান প্রসব বেদনায় এক প্রসুতি কাতরাচ্ছে। প্রসাশনের ভয়ে কোন যানবাহন চলাচল না করায় হাসপাতালে নিতে পারছে না প্রসুতিকে।
তার অসুস্থ আত্মীয়কে হাসপাতালে নিতে পুলিশের সহায়তা চান তিনি। এরপর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তাৎক্ষণিক হাসপাতালের সরকারি কোনো অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে থানার ডিউটি পুলিশ এস আই মোস্তফা, মনিরুল ও হারুন অর রশীদকে দিয়ে একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ওই নারীকে হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় অনলাইন প্রোটাল পাথরঘাটা নিউজে “ফোন করলেই প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাবার নিয়ে বাড়িতে যাবে পাথরঘাটা পুলিশ” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আর এই প্রতিবেদন দেখেই পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনকে কুয়েত থেকে বিষয়টি জানান ঐ প্রবাসী।
ঐ প্রসুতি ফাতিমা বেগমের স্বামী মানিক মিয়া জানান, পাথরঘাটা থানা পুলিশের আন্তরিকতার জন্য আমার স্ত্রীকে সহজেই হাসপাতালে নিয়ে আসতে পেরেছি। এজন্য আমি ওসির কাছে কৃতজ্ঞ।