উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকায় আমতলীতে ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু হয়নি
আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীতে ওএমএস এর চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়নি। মঙ্গলবার সারাদেশের ন্যায় আমতলীতে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার অনুপস্থিত থাকার কারনে আমতলীতে বিক্রি শুরু হয়নি। করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে আমতলী পৌরসভার কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষরা সরকারের এ বিশেষ কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানাগেছে, প্রতি সপ্তাহের রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত ডিলারগণ প্রতিদিন একেক জন এক টন করে চাল বিক্রি করবেন। যা আজ শুরু হওয়ার কথা কিন্তু উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম আমতলীতে না থাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি বলে বরগুনা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার মুঠোফোনে জানান।
তবে তিনি জানান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আমতলীতে থাকলে এ সমস্যা হতোনা। বিলম্বের কারনে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু করা যায়নি। তবে আজ চালান নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি কোন মাসেই ঠিকমত আমতলী থাকেন না ও অফিস করেন না। প্রায় মাসেই তিনি ঢাকাতে অবস্থান করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমি ঢাকায় আছি, লকডাউনের কারনে আসতে পারতেছিনা। আমি অফিসের অন্যকাউকে চাল উত্তোলনের জন্য ক্ষমতাপত্র প্রদান করে চাল উত্তোলনের ব্যবস্থা করতেছি।