পাথরঘাটায় আ’লীগ নেতার হামলায় ঘর ভাংচুর, দুই নারীসহ আহত ৫
মোহাম্মদ ইমাম হাসান নাহিদ.
বরগুনার পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে এক মৎস্য ব্যাবসায়ীর ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। ঘরের মালিক পক্ষ ভাংচুর বাঁধা দিতে গেলে দুই নারীসহ ৫জনকে পিটিয় রক্তাক্ত যখম করা হয়।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা স্লুইজ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মূমুর্ষ অবস্থায় রফিক নাজির নামে এক মৎস্য ব্যাবসায়ীকে পাথরঘাটা হাসপাতাল থেকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম মোক্তারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। তবে মরধরর কথা স্বীকার করছন ইব্রাহীম মোক্তার।
অন্যান্য আহতরা হলন, মোহাম্মদ জয়নাল, জলিল, মোর্শেদা ও বিউটি।
আহত রফিক নাজিরের ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, তার ভাই পদ্মা স্লুইজ বাজার ৩০ বছর ধরে ইলিশ মাছের ব্যাবসা করে। এই ব্যাবসা করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় ইব্রাহীমক টাকা দিয়ে আসছে। গত কয়ক দিন আগে রফিক তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান মাছের আড়ৎ ঘরের পিছনে থাকার জন্য একটি কাঠ ঘর তোলন। ওই ঘরে চার হাত জায়গা পাবে বলে রফিকের কাছে এক লক্ষ টাকা দাবী করেন ইব্রাহীম। দাবী অনুযায়ী রফিক ৬৮ হাজার টাকা দেয়। বাকি টাকা না দেয়ায় ইব্রাহীম মাক্তার তার ১০/১৫ জন সহযোগিদের নিয়ে এসে ঘরটি ভাংচুর করে। এসময় রফিকসহ তার ঘরের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে একটি দোকান ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে। পরে পদ্মা স্লুইজ ঘাটের পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতাল ভর্তি করিয়েছেন।
ইব্রাহিম জানান, রফিক যে জায়গায় ঘর তুলছে সেখানে আমার বোন জমি পাবে। ঘর তুলতে আমি বাঁধা দিলে সে আমার কথা শুনে নাই। তাই আমার সাথে থাকা কয়েক জন তাদের কে লাঠি দিয়ে ২/৪টি পিটান দিয়েছে। পর তাদেরকে আমি এনে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছি বলে জানান।
পদ্মা স্লুইজ বাজারের পুলিশ ক্যাম্পর ইনচার্জ আবুল কালাম খান জানান, মারামারির খবর পেয়ে আমারা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে আ’লীগ নেতার লোকজন পালিয়ে যায়। পর আহতদের উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে পাঠানা হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ওসি শাহবুদ্দিন জানিয়েছেন, ঘটনাটি আমি শুনছি। এখন পর্যন্ত থানায় কেহ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এটা দিও