বরিশালে করোনায় চারজনের মৃত্যু, একজনের নমুনা সংগ্রহ
বরিশালে জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া চারজনের তিনজন নারী ও একজন পুরুষ। তিন নারীর বয়স যথাক্রমে ৪৫, ৬০ ও ৬১। মৃত পুরুষের বয়স ৪০ বছর।
মারা যাওয়া তিন নারীর বাড়ি বরিশালে। পুরুষের বাড়ি পটুয়াখালী। চারজনই জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এদের মধ্যে একজনের (পুরুষ) নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৯ মার্চ) সকালে বরিশালের করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার গোহানগাছিয়া গ্রামে। শনিবার (২৮ মার্চ) রাতে একই ইউনিটে ৪৫ বছরের এক নারীর মৃত্যু হয়। তার বাড়ি বরিশাল নগরীতে।
পাশাপাশি বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৬১ ও ৬০ বছরের দুই নারীর মৃত্যু হয়। ৬১ বছরের নারীর মৃত্যু হয় রোববার (২৯ মার্চ) সকালে। এর আগে একই উপজেলায় ৬০ বছরের আরেক নারীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মারা যাওয়া দুই নারীর নমুনা সংগ্রহ হয়নি। পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাদের মরদেহ দাফন করেছেন।
এদিকে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য পিসিআর পেয়েছে বরিশাল শের-ই-মেডিকেল কলেজ। আইইডিসিআর থেকে পাঠানো যন্ত্রটি সোমবার সকালে এসে পৌঁছায়।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অসিত ভূষণ দাস বলেন, আইইডিসিআর থেকে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য পাঠানো যন্ত্র সকালে এসে পৌঁছায়। নতুন যন্ত্রটি কলেজের একাডেমিক ভবনের দোতলার মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপন করা হবে। এজন্য সুরক্ষিত একটি ল্যাব তৈরি করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে একদল টেকনোলজিস্ট এসে যন্ত্র স্থাপনের কাজ শুরু করবেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট এখনও আসেনি। তবে আইইডিসিআর থেকে দু’একদিনের মধ্যে কিট পাঠানো হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ৫-৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে। পরীক্ষা শুরু হলে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার সন্দেহভাজন কোন রোগীর নমুনা আর ঢাকায় পাঠানোর প্রয়োজন হবে না। এ যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ইউনিটে এখন পাঁচজন ভর্তি আছেন। তারা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে নিশ্চিত বলা যাবে না। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বলা যাবে।